পাকিস্তানকে বার্তা দিয়ে উত্তেজনা হ্রাস

আপাতত যুদ্ধকালীন উত্তেজনায় ক্ষান্তি। তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক লড়াই বজায় থাকবে। সীমান্তে অতন্দ্র রাখা হবে সেনাবাহিনীকে। বাড়ানো হবে আন্তর্জাতিক চাপ। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি বৃত্ত আপাতত সম্পূর্ণ করল ভারত। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯ ০২:০২
Share:

আপাতত যুদ্ধকালীন উত্তেজনায় ক্ষান্তি। তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক লড়াই বজায় থাকবে। সীমান্তে অতন্দ্র রাখা হবে সেনাবাহিনীকে। বাড়ানো হবে আন্তর্জাতিক চাপ। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি বৃত্ত আপাতত সম্পূর্ণ করল ভারত।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার বললেন, ‘‘যদি নয়া পাকিস্তান নয়া ভাবনার দাবিই করে, তা হলে নিজেদের মাটিতে জঙ্গি পরিকাঠামো এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য নতুন অভিযান করে দেখাক।’’ কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আজকের বার্তায় এ ভাবেই ইসলামাবাদকে প্রচ্ছন্ন ভাবে একটি সুযোগ দেওয়ার কথা বলা রইল। পাশাপাশি এটাও জানিয়ে দেওয়া হল, ফের আক্রমণ হলে প্রত্যাঘাত হবে। দু’দেশের রাষ্ট্রদূতেরাও ফিরে গেলেন নিজেদের কর্মস্থলে। সীমান্ত পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পরেই দু’দেশই সাময়িক ভাবে ডেকে নিয়েছিল তাঁদের।

কয়েক দিনের মধ্যেই দেশে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, তার আগে চরম উত্তেজনা প্রশমন জরুরি। আবার পাকিস্তান-বিরোধী হুঙ্কার বজায় রাখাটাও প্রচারের জন্য প্রয়োজন। এই দুইয়ের মাঝে ভারসাম্য খুঁজতে আজ ফিরিয়ে আনা হয়েছে অতীতের জঙ্গি হামলার উদাহরণ— ২০০১-এর সংসদ হামলা, ২০০৮-এর মুম্বই হামলা এবং ২০১৬-এ পঠানকোটের সেনাছাউনিতে হামলার কথা। আজ ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান যে কথা দিয়েছিল, তা কাগজকলমেই রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তান যাতে কাজে কিছু করে দেখায়, তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমরা দৌত্য চালিয়ে যাব।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: চোর ফেরত দিল! বয়ান বদলে প্রশ্ন

একই সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে বিভিন্ন দেশ কী ভাবে পুলওয়ামার পর পাকিস্তানি সন্ত্রাসের নিন্দায় মুখর হয়েছে।

বালাকোট অভিযানের ১২ দিন পর দু’দেশের রাষ্ট্রদূতেরাও আবার ফিরে গিয়েছেন নিজেদের কর্মস্থলে। গত কাল গভীর রাতেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়া ‘ভারতের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছেন।’ আজ থেকে তিনি সে দেশে কাজও শুরু করেছেন। গত কালই পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকও স্পষ্ট করে দেয়, তারাও ভারতে পাঠিয়ে দিচ্ছে তাদের রাষ্ট্রদূতকে। বিসারিয়ার কথায়, ‘‘আমাদের তরফ থেকে কোনও ভাবেই উত্তেজনা বাড়ানো হয়নি। আমরা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর উপর কোনও অভিযান করিনি। যা করা হয়েছে, তা জইশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসদমন অভিযান।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন