মেঘালয়ে খনির মূল গহ্বরের জল বার করার কাজ শুরু

ওড়িশা দমকলের পাম্পগুলি ব্যবহার করে আশপাশের দু’টি গহ্বর থেকে জল বার করা হলেও মূল গহ্বরে জল একটুও কমেনি। অন্য গুলির জল কমলেও প্রতিরাতেই তা ফের বেড়ে গিয়েছে। কারণ পাশে বয়ে চলা লিটন নদীর জল গুহাতে ঢুকছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:২১
Share:

খনি থেকে জল বার করতে আনা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প। শনিবার মেঘালয়ে। নিজস্ব চিত্র

মেঘালয়ের খনি দুর্ঘটনার ২৩ দিন পরে, আজ বিকেলে প্রথমবার মূল গহ্বর থেকে জল বার করা শুরু হল। আগামী কাল নৌসেনার ডুবুরিরা নীচে নেমে জলতল মাপবেন। নৌসেনার হিসেবে মূল গহ্বরে জলের গভীরতা ১৬০.৭ ফুট। গহ্বরের মুখ থেকে জলতল ২০৯ ফুট। আরও অন্তত ৯৮ ফুট জল কমলে ডুবুরিরা নামতে পারবেন। কিন্তু ২৩ দিনে যেখানে ১ ফুট জলও কমেনি সেখানে ৯৮ ফুট জল কত দিনে কমতে পারে কেউ জানেন না।

Advertisement

ওড়িশা দমকলের পাম্পগুলি ব্যবহার করে আশপাশের দু’টি গহ্বর থেকে জল বার করা হলেও মূল গহ্বরে জল একটুও কমেনি। অন্য গুলির জল কমলেও প্রতিরাতেই তা ফের বেড়ে গিয়েছে। কারণ পাশে বয়ে চলা লিটন নদীর জল গুহাতে ঢুকছে। গত দশ ঘণ্টায় পুরনো গহ্বর থেকে ১০ লক্ষ লিটার জল বার করার পরে জলতল কমেছে মাত্র দেড় ফুট।

কোল ইন্ডিয়ার কর্তা জে কে বোরা ও ওড়িশা অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর প্রধান ফায়ার অফিসার সুকান্ত শেঠির মতে, এত দিন পরেও গোটা উদ্ধারকাজটাই চলছে আশা আর অনুমানে ভর করে। কারণ গহ্বরগুলির ভিতরে কী আছে, কেমন ভাবে আছে, কোথায় সুড়ঙ্গ রয়েছে, কোথা থেকে জল ঢুকছে— তা কেউই জানে না।

Advertisement

এ দিকে, ২০১৪ সালে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল মেঘালয়ে কয়লা খনন নিষিদ্ধ করার পরেও খনন বন্ধ না হওয়ায় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল মেঘালয় সরকারকে অবিলম্বে ১০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কাছে জমা রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। কয়লা খনন চলায় পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতে খরচ করা হবে ওই অর্থ। বিচারপতি বি পি কাকতির নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনালের বিচারবিভাগীয় কমিটি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে, উপগ্রহ চিত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মেঘালয়ের কয়লা খনি নিয়ে ৫০ পাতার একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। তার ভিত্তিতেই ওই নির্দেশ দেয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়াও, পরিবেশের উপরে এই খননের প্রভাব যাচাই করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন