Indian Railways

বেসরকারি ট্রেন দেখভালে পৃথক বন্দোবস্ত রেলের

রেল বোর্ড সূত্রের খবর, সারা দেশে ১২টি ‘ক্লাস্টার’ বা অঞ্চলে ১০৯টি বেসরকারি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৪:২২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ব্যাপক বিতর্ক ও প্রতিবাদের মধ্যেই কিছু ট্রেন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ চলছে। শুধু তা-ই নয়, সেই সব ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেশের সব জ়োনকে পৃথক পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে বলেছে রেল। সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় রেল বোর্ড জানিয়েছে, বেসরকারি ট্রেনের জন্য রেলের নিজস্ব ইয়ার্ড থেকে রক্ষণাবেক্ষণের ওই পরিসর খুঁজে বার করতে হবে। যে-সব এলাকায় সেই সুবিধা নেই, সেখানে রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো নির্মাণ করতে হবে কাছাকাছি জায়গায়, বিকল্প জমিতে।

Advertisement

রেল বোর্ড সূত্রের খবর, সারা দেশে ১২টি ‘ক্লাস্টার’ বা অঞ্চলে ১০৯টি বেসরকারি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব রুটে ১৫০টি বেসরকারি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে। সেই সব ট্রেন ছাড়ার ১৫ মিনিট আগে এবং ১৫ মিনিট পরে সরকারি বা বেসরকারি কোনও ট্রেন থাকবে না। যাতে ওই সব ট্রেন নির্বিবাদে ছুটতে পারে। রেল বোর্ডের আগ্রহ অনুযায়ী সারা দেশে নির্বাচিত ডিপোয় বেসরকারি ট্রেন স্বয়ংক্রিয় ভাবে পরিষ্কার করার এবং প্রয়োজনীয় মেরামতির জন্য ট্রেন-পিছু অন্তত দু’ঘণ্টা সম়য় রাখার কথা বলা হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতি সাত হাজার কিলোমিটার ছোটার পরে ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের এই ব্যবস্থাপনা আবশ্যিক। কোনও রকম শান্টিং ইঞ্জিনের সাহায্য ছাড়াই বেসরকারি ট্রেনকে যাতে ইয়ার্ড পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়, সেই জন্য প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক পরিকাঠামো তৈরি রাখতে হবে। যে-সব জায়গায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে, সেখানে কর্মী, অফিসার ও প্রযুক্তিবিদদের যাতায়াতের সুবিধার কথাও মাথায় রাখতে বলা হয়েছে।

বেসরকারি ট্রেনের জন্য এ ভাবে সরকারি পরিকাঠামো খুলে দেওয়ায় সমালোচনায় সরব হয়েছে রেলের কর্মী ইউনিয়নগুলি। ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ‘‘সরকারি ট্রেনকে উপেক্ষা করে যে-ভাবে বেসরকারি ট্রেনের জন্য নির্ঝঞ্ঝাট পরিকাঠামো তৈরির কথা বলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রেলের নিজস্ব পরিকাঠামোকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’’ সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহারের জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলি কী হারে অর্থ দেবে, তা-ও স্পষ্ট নয় বলে বিভিন্ন রেলকর্মী সংগঠনের অভিযোগ। ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেসের সভাপতি বিনোদ শর্মা বলেন, ‘‘রেলের পরিকাঠামো সরকারের সম্পত্তি। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের স্বার্থের জন্য সেগুলো বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

রেল সূত্রের খবর, বেহাল আর্থিক অবস্থার মধ্যে রেলের জরুরি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও রাশ টানার কথা বলা হয়েছে। একান্ত জরুরি কাজ না-হলে বাজেটে ‘পিঙ্ক বুকে’ উল্লিখিত কাজও আপাতত মুলতুবি রাখতে বলেছে রেল বোর্ড। চলতি আর্থিক বছরে যাত্রী পরিবহণে আয়ের লক্ষ্যমাত্রার থেকে রেল ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে থাকতে পারে বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন