প্রতীকী চিত্র
অস্ত্রের বদলে হাতে বই-খাতা। বাধ্য ছাত্রের মতো দলেদলে ভারতীয় সেনাজওয়ান হয়তো এবার ঢুকবে ভাষাশিক্ষার ক্নাসে। কী করা যাবে! সেনাকর্তাদের নির্দেশ, চিনা ফৌজের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার জন্য যে করেই হোক শিখতে হবে চিনা ভাষা।
মনে হতে পারে যে,সীমান্তে গুলির জবাব যাঁরা গুলিতে দেন, তাঁদের নতুন করে ভাষার পাঠ দেওয়ার দরকার কী? কিন্তু শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন চালে নাকি চিনের রেড আর্মির কপালেও চিন্তার ভাঁজ। তাঁদের আশঙ্কা, চিনা ভাষা শিখে নিলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা আ়ড়ি পেতে তাদের গোপন বার্তা বুঝে ফেলবে। চিনের সাংহাই অ্যাকাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের গবেষকদের মতে, একে-অন্যের ভাষা জানলে শান্তির সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে পারেন। আবার সংঘর্ষের সময় সেটাই হয়ে ওঠে অস্ত্রের চেয়েও মারাত্মক হাতিয়ার।
চিনা সেনাবাহিনীর একাংশও যে ভারতীয় ভাষায় দক্ষ, তা টের পাওয়া গিয়েছিল বছরখানেক আগে। আচমকা সীমান্ত টপকে অরুণাচল প্রদেশে ঢুকে চিনের ফৌজিরা বেশ কিছুক্ষণের জন্য তাণ্ডব বাঁধিয়ে দিয়েছিল।সে সময়ে তারা নাকি কথা বলেছিল বিশুদ্ধ হিন্দিতে!
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের থেকে গণতন্ত্র শিখব না, রাষ্ট্রপুঞ্জে বলল ভারত
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাফ কথা,যদি চিনারা পারে, তবে তারা পারবে না কেন?
চিনের অধিকাংশ মানুষ মান্দারিন ভাষায় কথা বলেন।পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী ও মধ্যপ্রদেশের সাঁচির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মান্দারিন শেখার ব্যবস্থা রয়েছে। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের জওয়ানদের দুটো দলকে ইতিমধ্যেই মান্দারিন শিক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
অতএব, এখন প্রতীক্ষার প্রহর। মাত্র এক বছরের শিক্ষাতেই নাকি চিনা ভাষায় রপ্ত হয়ে যাবেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা।এরপর? হাতে শুধু বন্দুকই থাকবে না, প্রয়োজনেঅস্ত্র হয়ে উঠবে চিনা ভাষাও!