(বাঁ দিক থেকে) নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করতে গত অক্টোবর মাসে সে দেশের দুই তেলশোধক সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল আমেরিকা। কিন্তু সেই মাসেও রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানেই রইল ভারত— চিনের ঠিক পরেই। ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার’ (সিআরইএ)-র পরিসংখ্যা়ন বলছে, গত সেপ্টেম্বরে ২৫০০ কোটি ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা) খরচ করে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করেছিল ভারত। অক্টোবর মাসেও সমপরিমাণ টাকার তেল কিনেছে নয়াদিল্লি।
গত ২২ অক্টোবর দুই রুশ তেলশোধক সংস্থা ‘রসনেফ্ট’ এবং ‘লুকঅয়েল’-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও পরিসংখ্যান বলছে, রাশিয়া শুধু অক্টোবর মাসেই ৬ কোটি ব্যারেল অশোধিত তেল রফতানি করেছে, যার মধ্যে প্রায় ৫ কোটি ব্যারেলের ওই দুই রুশ সংস্থাই। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও ভারত রাশিয়া থেকে একই পরিমাণ তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
অক্টোবর মাসের শেষে কয়েকটি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের তেলশোধক সংস্থাগুলি নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া রুশ সংস্থাগুলিকে নতুন করে তেলের বরাত দিচ্ছে না। কিছু বরাত বাতিলও করা হয়েছে। কারণ, সংস্থাগুলি মনে করছে, ওই সংস্থাগুলির কাছ থেকে তেল কিনলে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নেওয়া যাবে না। ওই প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয়েছিল, আপাতত অশোধিত তেলের চাহিদা মেটাতে ভারতের কয়েকটি তেলশোধক সংস্থা ‘স্পট মার্কেট’ (যেখানে রফতানিকারক সংস্থা বা দেশের কাছ থেকে বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী দ্রুত তেল আমদানি করা যাবে) থেকে তেল আমদানি করছে। এই আবহেই ট্রাম্প বেশ কয়েক বার দাবি করে ফেলেছেন যে, তাঁর অনুরোধে রাশিয়া থেকে তেল কেনা কমিয়ে দিচ্ছে ভারত। ট্রাম্পের দাবির সত্যাসত্য জানা যাবে পরবর্তী মাসগুলিতে ভারতের রুশ তেল কেনার পরিমাণ প্রকাশ্যে আসার পরেই।