স্বাধিকার হারাল তথ্য কমিশন, অভিযোগ সনিয়ার

মনমোহন জমানায় সনিয়া গাঁধীর জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সুপারিশে আরটিআই বা তথ্যের অধিকার আইন তৈরি হয়। গত পাঁচ বছরে ওই আইনের জন্য বেশ কয়েক বার সরকারি তথ্য প্রকাশ্যে আসায় বিপাকে পড়তে হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০৮
Share:

কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।—ছবি পিটিআই।

তথ্যের অধিকার আইনে পরিবর্তন এনে তথ্য কমিশনারদের বেতন ও মেয়াদ সরকারের হাতে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ ফের সরব হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। তাঁর কথায়, ওই পরিবর্তনের ফলে তথ্য কমিশন স্বাধিকার হারাল।

Advertisement

মনমোহন জমানায় সনিয়া গাঁধীর জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সুপারিশে আরটিআই বা তথ্যের অধিকার আইন তৈরি হয়। গত পাঁচ বছরে ওই আইনের জন্য বেশ কয়েক বার সরকারি তথ্য প্রকাশ্যে আসায় বিপাকে পড়তে হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বার মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই তথ্যের অধিকার আইনে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেন। নতুন নিয়মে তথ্য কমিশনারদের মেয়াদ ও বেতন নিজের হাতে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। সংসদে সেই বিল জুলাইয়ে পাশ হলেও গত সপ্তাহে এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র।

শুরু থেকেই বিলে ওই পরিবর্তনগুলি নিয়ে সরব ছিলেন সনিয়া। তাঁর মতে, আইনের প্রয়োগকে দুর্বল করতেই ওই নিয়ম বদল করা হয়েছে। আজ এক বিবৃতিতে সনিয়া বলেন, প্রথম পাঁচ বছরে অধিকাংশ তথ্য কমিশনারের পদ ফাঁকা ছিল। আর দ্বিতীয় বার আইনে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য মনে করেন, মোদী সরকারের কাজকর্ম এতটাই স্বচ্ছ যে তথ্যের অধিকার আইনে আবেদনের প্রয়োজনীয়তা ক্রমশ কমে আসছে। চলতি মাসেই দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে শাহ দাবি করেন, সরকার নিজে থেকেই কাজের খতিয়ান তুলে ধরায় তথ্যের অধিকার আইনে আবেদন আগের চেয়ে অনেকাংশে কমে গিয়েছে। তাঁর যুক্তি ছিল, বর্তমান সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের খুঁটিনাটি এখন সেই মন্ত্রকের ওয়েবসাইটেই পাওয়া যায়। তাই আবেদনের সংখ্যা ক্রমশ কমে এসেছে। অমিত শাহ তথা সরকারের মতে, আইন থাকা সত্ত্বেও আবেদনের সংখ্যা কমে আসাই সরকারের প্রকৃত সাফল্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন