রাস্তার হাল ফেরাতে তৎপর প্রশাসন

কালভার্ট ভেঙে পড়ায় শিলচরের ইটখলা ইদগাহ্-এর সামনের রাস্তায় যান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল। এতে ইটখলা, মালুগ্রাম, ঘনিয়ালা, দুধপাতিলের মানুষ প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার আবার ইদ-উজ-জোহা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫৭
Share:

ভাঙা কালভার্ট সারাইয়ের কাজে নেমেছে প্রশাসন। শনিবার শিলচরে। ছবি: হিমাংশু দে।

কালভার্ট ভেঙে পড়ায় শিলচরের ইটখলা ইদগাহ্-এর সামনের রাস্তায় যান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল। এতে ইটখলা, মালুগ্রাম, ঘনিয়ালা, দুধপাতিলের মানুষ প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার আবার ইদ-উজ-জোহা। শিলচর শহরের বিভিন্ন অংশের মানুষ ইদের সকালে ইটখলা ইদগাহেই নামাজ পড়েন। তার আগে রাস্তা মেরামত করা না হলে ইদের দিনে সমস্যা দেখা দেবে।

Advertisement

এ নিয়ে উদ্বিগ্ন কংগ্রেস নেতারা আজ জেলা উন্নয়ন কমিশনার মধুমিতা চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা দ্রুত রাস্তা মেরামতের দাবি জানান। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ত বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অঞ্জনকুমার চন্দও। জেলা সভাপতি কর্ণেন্দু ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে নামার দাবি জানান। তাঁরা রাস্তা খোলার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেন। জেলা কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমলের মঞ্জুর করা ৫০ লক্ষ টাকা বিভাগে পড়ে রয়েছে। ওই টাকায় ইটখলা মোড় থেকে ইদগাহের সামনে দিয়ে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত ৪০০ মিটার রাস্তায় সিমেন্ট-কংক্রিটের ব্লক বসানো যেতে পারে।’’ দুর্গাপূজার আগে শহরের সমস্ত রাস্তায় প্যাচওয়ার্ক করারও আর্জি জানান তাঁরা।

এই বৈঠকের পরেই মধুমিতা চৌধুরী অঞ্জনবাবুকে নিয়ে ভাঙা কালভার্ট পরিদর্শন করেন। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাছাড় জেলা কমিটির পক্ষ থেকেও রাস্তা নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করা হয়েছে। সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী কথা বলেন অঞ্জনবাবুর সঙ্গে। অঞ্জনবাবু পরে জানিয়েছেন, ‘‘আপাতত হিউম পাইপ বসিয়ে রাস্তা খুলে দেওয়া হবে। সে জন্য জোরগতিতে কাজ চলছে। তবে স্থায়ী কাজের জন্য প্রচুর সময় ও অর্থের প্রয়োজন। দুর্গাপূজার আগে তা সম্ভব হবে না। তাই আপাতত চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হচ্ছে।’’ এই কাজ আগামী কাল রাতের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশাবাদী তিনি।

Advertisement

এ দিকে, ইটখলা ইদগাহ কমিটির সভাপতি আফতাবুর রহমান বড়ভুইয়া বলেন, শুধু ইদগাহের সামনে নয়, সমস্ত শহর জুড়ে রাস্তা খারাপ। ইদের পরই দুর্গোৎসবে মানুষের ঘুরে বেড়ানো, জামাকাপড় কেনা—সব নিয়েই তাঁরা চিন্তিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন