International Flight

International flight: ১৫ই থেকে চালু হচ্ছে না আন্তর্জাতিক উড়ান

গত বছরের ২৩ মার্চ আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করেছিল ভারত। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ, সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছিল

Advertisement
শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক সপ্তাহও কাটল না, সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হল কেন্দ্রকে। ভারত থেকে ফের নির্ধারিত সূচি মেনে আন্তর্জাতিক উড়ান আগামী ১৫ ডিসেম্বর চালু করা যাচ্ছে না বলে আজ জানিয়ে দিল দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। করোনাভাইরাসের ‘উদ্বেগজনক’ ওমিক্রন স্ট্রেন রুখতেই যে এই পদক্ষেপ, ডিজিসিএ-র বিবৃতিতেই তা স্পষ্ট।

Advertisement

ওমিক্রন নিয়ে গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, সব দিক ভাল করে খতিয়ে দেখে তবেই যেন আন্তর্জাতিক উড়ান চালু হয়। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছিল, ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। আজকের বিবৃতিতে ডিজিসিএ বলেছে, ‘‘নতুন উদ্বেগজনক ভেরিয়েন্ট দেখা দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। নির্ধারিত সূচি মেনে ফের কবে আন্তর্জাতিক উড়ান চালু হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।’’

গত বছরের ২৩ মার্চ আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করেছিল ভারত। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ, সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছিল এবং এ দেশে সংক্রমণ ছড়ানোয় অনুঘটকের কাজ করেছিল তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর। এ বারের পদক্ষেপে স্পষ্ট, অতি-সংক্রামক ওমিক্রন রুখতে প্রশ্ন তোলার অবকাশ রাখতে চাইছে না কেন্দ্র। আপাতত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে ‘বাব্‌ল’ প্রক্রিয়ায় ভারত কিছু আন্তর্জাতিক উড়ান চালাচ্ছে। কিন্তু নির্ধারিত সূচি মেনে পুরোদমে আন্তর্জাতিক উড়ান এখনও চালু হয়নি।

Advertisement

কেন্দ্র তাদের নির্দেশিকায় বলেছে, ‘ঝুঁকির তালিকায়’ থাকা দেশগুলি থেকে আসা আন্তর্জাতিক উড়ানের যাত্রীরা বিমানবন্দরে নিজেদের খরচে করোনা পরীক্ষা করাবেন। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর আজ জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ ওমিক্রন-পীড়িত বিভিন্ন দেশ থেকে মুম্বইয়ে আসা ৬ জনের কোভিড রিপোর্ট পজ়িটিভ হয়েছে। তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়েছে। ঝুঁকির তালিকায় থাকা দেশ ছুঁয়ে আসা ১১টি উড়ানের ৩৪৭৬ জনকে পরীক্ষার পরে ওই ছ’জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ হয়েছে।

তবে বিমানবন্দরের করোনা-বিধি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে চাপানউতোর বেধেছে মহারাষ্ট্র সরকারের। গত ৩০ নভেম্বর মহারাষ্ট্র তাদের নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, বিদেশ থেকে আসা যে কোনও যাত্রী মুম্বইয়ে পা দিলেই তাঁকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ১৪ দিন বিচ্ছিন্নবাসে থাকতেই হবে। ভারতের ঝুঁকির তালিকায় থাকা দেশগুলি থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক বিচ্ছিন্নবাস বাধ্যতামূলক। ৭২ ঘণ্টা আগে করানো আরটি-পিসিআরের নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া মুম্বইয়ে বিমানে ওঠাই যাবে না।

মহারাষ্ট্রের এই নিয়ম কেন্দ্রের থেকে আলাদা। তাই আজ ঠাকরে সরকারকে কেন্দ্রের নির্দেশিকা মানতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। কেন্দ্রের নিয়ম বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে বা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হয়ে আসা যাত্রীরা এ দেশের বিমানবন্দরে নামলে শুধু তাঁদেরই আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁরা বিমানবন্দর ছেড়ে বেরোতে পারবেন না অথবা দেশের অন্যত্র যাওয়ার সংযোগকারী বিমান ধরতে পারবেন না। ঝুঁকির তালিকায় নেই, এমন দেশ থেকে আসা উড়ানের পাঁচ শতাংশ যাত্রীর কোভিড পরীক্ষা হবে। বাকিরা পরীক্ষা ছাড়াই বাড়ি যেতে পারবেন, পরের ১৪ দিন স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন