নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, যে সাইটগুলি চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখায় না তাদের উপরে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না। বুধবারই ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি সরকারের কাছে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট তালিকা না পেলে এমন নির্দেশ কার্যকর করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। টেলিকম মন্ত্রককে ওই সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে, কোন সাইটে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখানো হচ্ছে, আর কোন সাইটে হচ্ছে না— তা যাচাই করার কোনও পদ্ধতি তাদের কাছে নেই।
পর্নো-সাইট দেখা যাবে না বলে গত ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার আওতায় এসেছিল ৮৫৭টি সাইট। এর পরে দেশজুড়ে বিরোধিতার মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়, যে সাইটগুলি চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখায় না তাদের ছাড় দেওয়া হবে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব ইন্ডিয়া (আইএসপিএআই)-এর প্রেসিডেন্ট রাজেশ ছারিয়া এ দিন টেলিকম সচিব রাকেশ গর্গকে একটি চিঠি দেন। তাতে তিনি লিখেছেন, যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত অস্পষ্ট এবং কার্যকর করা অসম্ভব। কারণ একটি ইউআরএল-এর মধ্যে অসংখ্য ভিন্ন নামের সাব-লিঙ্ক থাকে। তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করার মতো প্রযুক্তি তাদের কাছে নেই। প্রতিটি ওয়েবসাইটের উপরে নজরদারি চালানোও কার্যত সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, তাঁদের অ্যাসোসিয়েশন চাইল্ড পর্নোগ্রাফি এবং মহিলাদের উপরে অত্যাচারের ঘোরতর বিরোধী।