Aligarh Muslim University

আলিগড়ে বন্ধ নেট, বল কোবিন্দের কোর্টে

গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাব-ই-সইদ গেটে এখানকার পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের হিন্দু যুবা বাহিনীর সংঘাত বাধে। পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৮ ০৩:০১
Share:

বিতর্ক আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে। তার জল গড়াল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দরবারে। দাবি উঠল বিচার বিভাগীয় তদন্তের। গত বুধবারের সংঘাতের পর থেকেই থমথমে হয়ে রয়েছে আলিগড়। কেউ যাতে উত্তেজক ভিডিয়ো বা বার্তা ছড়িয়ে পরিবেশ আরও বিষিয়ে না তুলতে পারে তার জন্য আজ দুপুর দু’টো কাল মাঝরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট।

Advertisement

গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাব-ই-সইদ গেটে এখানকার পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের হিন্দু যুবা বাহিনীর সংঘাত বাধে। পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। চালায় লাঠিও। জখম হন ২০ জন। ওই গেটের পাশে এখনও ধর্না চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা। আগামী দু’দিন তাঁরা ক্লাস বয়কট করবেন বলে জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তারিক মনসুর ছাত্রদের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছেন আগেই। আজ তিনি স্থানীয় জওহললাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে বুধবারের ঘটনায় জখম তিন ছাত্রকে দেখে এসেছেন। জিন্নাকে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের আজীবনের সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল ১৯৩৮ সালে। সেই সূত্রে অন্য আজীবন সদস্যদের মতো তাঁর ছবিও বহু দশক ধরে রয়েছে সেখানে। গত বুধবার প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিকে ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তার আগে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সতীশ গৌতম প্রশ্ন তোলেন, পাকিস্তানের জনকের ছবি কেন রাখা হবে। এর পরই বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতিতে পরিস্থিতি গরম হতে থাকে। এর মধ্যে হিন্দু যুবা বাহিনী গিয়ে হাঙ্গামা বাধালে ভন্ডুল হয়ে যায় হামিদ আনসারিকে নিয়ে সে দিনের অনুষ্ঠান। এই ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রাষ্টপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন। এর সম্পাদক নাজিমুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টিকে খুবই গুরুতর বিষয় হিসেবে দেখার আর্জি রেখেছি রাষ্ট্রপতির কাছে। কারণ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আনসারির নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত এর সঙ্গে। গুন্ডারা সে দিন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল। পুলিশ ছিল নীরব দর্শক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement