ইরম শর্মিলা চানু। ছবি: সংগৃহীত
নিজভূমে ব্রাত্য, সমালোচিত এবং ভোটযুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর শান্তির আশায়, ঘর বাঁধার আকাঙ্খা নিয়ে মণিপুর থেকে তামিলনাড়ুর কোদাইকানালে আশ্রয় নিয়েছেন ইরম শর্মিলা চানু। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। ডেসমন্ডের সঙ্গে তাঁর বিয়ের আগেই লাগাতার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন মানবাধিকার নেত্রী।
উগ্র হিন্দুবাদী সংগঠন হিন্দু মাক্কাল কাটচি-র (এইচএমকে) কোদাইকানাল নেতৃত্ব স্থানীয় আদালতে আবেদন জমা দিয়ে দাবি করেছে, বিতর্কিত নেত্রী কোদাইকানালের মতো শান্ত, নির্ঝঞ্ঝাট পর্যটন কেন্দ্রে থাকায় সেখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির নজর পড়েছে। এবং তাতে অশান্তি বাড়ার আশঙ্কা দেখছে এইচএমকে।
গত ১২ জুলাই স্থানীয় ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ের আবেদন জমা দিয়েছেন শর্মিলা ও তাঁর প্রেমিক, আদতে ব্রিটিশ নাগরিক ডেসমন্ড কুটিনহো। উল্লেখ্য, মণিপুরের বিধানসভা ভোটে মাত্র ১৫টি ভোট পাওয়ার পরেই স্বভূমি ছাড়েন শর্মিলা। প্রথমে কেরল, তারপর কোদাইকানালে এসে বাড়ি ভাড়া নেন তিনি। তৈরি করান আধার কার্ড। সেখানেই তিনি জানান, মানবাধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন। কিন্তু স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন তাঁর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দাবি করেন, শর্মিলা ও ডেসমন্ড পাকাপাকি কোদাইকানালে থাকলে সেখানকার শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।
এমনিতে ১২ অগস্টের পরে যে কোনও দিন তাঁরা বিয়ে করতে পারেন। কিন্তু তার আগেই এইচএমকের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আর রবিকুমার আদালতে আবেদন করায় নতুন করে শুরু হয়েছে অস্বস্তি।
রবিদের দাবি, ‘‘শর্মিলা কেন কোদাইকানালে ঘাঁটি গেড়েছেন, তার তদন্ত হোক।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে হলে চানুর কাশ্মীরে থাকা উচিত।’’ রবি হুমকি দিয়েছেন, রাজ্য সরকার শর্মিলাকে মণিপুরে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করুক। না হলে তাঁদের সংগঠনই শর্মিলাকে কোদাইকানাল ছাড়া করবে।