National News

বিবাহবিচ্ছেদের ‘খুশি’তেই কি প্রতিবেশিদের মিষ্টি খাওয়ালেন যুবক!

পরীক্ষায় ছেলেমেয়ের ভাল রেজাল্টে বা চাকরি পাওয়ার আনন্দেও মিষ্টি বিতরণ করেন অনেকে। পরিবারে কারও বিয়ে পাকা হওয়ার খুশিতে বা বিবাহবার্ষিকীতে মিষ্টি খাওয়ান অনেকেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ১০:২৫
Share:

পরীক্ষায় ছেলেমেয়ের ভাল রেজাল্টে বা চাকরি পাওয়ার আনন্দেও মিষ্টি বিতরণ করেন অনেকে। পরিবারে কারও বিয়ে পাকা হওয়ার খুশিতে বা বিবাহবার্ষিকীতে মিষ্টি খাওয়ান অনেকেই। কিন্তু কখনও শুনেছেন বিবাহবিচ্ছেদের খুশিতে কেউ মিষ্টি খাওয়ান! অবাক করার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের রাজকোট জেলার বাঙ্কানের-এ। বিবাহবিচ্ছেদে মিষ্টি খাইয়ে সবাইকে চমকে দেওয়া যুবকের নাম রিঙ্কেশ রচ্ছ।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে স্থানীয় এক যুবতীর সঙ্গে দেখেশুনেই বিয়ে হয় রিঙ্কেশের। বেশ ধুমধাম করেই হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু, মাসখানেক কাটতে না কাটতেই ছোটখাটো নানা বিষয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে ওই দম্পতির। রিঙ্কেশ বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম, দু’জন অচেনা মানুষ একসঙ্গে থাকতে গেলে একটুআধটু মতের অমিল হতেই পারে! সম্পর্ককে একটু সময় দিলে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।” বাস্তবের ছবিটা কিন্তু একেবারেই উল্টো হয়ে গেল। যত দিন গড়াল, সম্পর্কের ততই অবনতি হল।

আরও পড়ুন

Advertisement

৯ বছরের মেয়েকে রড দিয়ে মার গো-রক্ষকদের!

পাড়াপ্রতিবেশিদের মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন রিঙ্কেশ। ছবি: সংগৃহীত।

রিঙ্কেশ বলেন, “একটা সময় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হল যে আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে আলাদা থাকার দাবি তুললেন। আমি তা-ও মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু, নিজের পরিবার ছেড়ে ওঁর সঙ্গে আলাদা থেকেও কোনও লাভ হয়নি।” তাঁর অভিযোগ, পরিস্থিতি একেবারে নাগালের বাইরে চলে যায় যখন মহিলা ‘হেল্পলাইন’-এ ফোন করে বাড়িতে পুলিশ ডেকে আনলেন স্ত্রী। “বাধ্য হয়েই বিবাহ বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছি।” —বলেন রিঙ্কেশ। কিন্তু দাম্পত্যের মতো রিঙ্কেশের বিবাহবিচ্ছেদের ব্যপারটাও সহজ ভাবে হয়নি। আদালতে মোটা অঙ্কের খোরপোশ দাবি করেছিলেন রিঙ্কেশের স্ত্রী। বিপুল অঙ্কের টাকা দিতে অপারগ রিঙ্কেশ দ্বারস্থ হন আদালতের। এর পর দীর্ঘ টালবাহানার পর স্ত্রীর সঙ্গে আপোসের করে সম্পর্ক ছেদ করেন রিঙ্কেশ।

বিবাহবিচ্ছেদের পর বাড়িতে ফিরে পাড়াপ্রতিবেশিদের মিষ্টিমুখ করান রিঙ্কেশ। এই মিষ্টিমুখ কি সম্পর্ক থেকে ‘মুক্তি’র আনন্দে! আক্ষেপের সুরে যুবক বলেন, “না, বিবাহবিচ্ছেদের আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করিনি। অনেকেই আইনের অপব্যবহার করেন। আমি আমার প্রতিবেশিদের শুধু সে বিষয়ে সতর্ক করতে চেয়েছি।” তা হলে কি আর বিয়ে করবেন না তিনি? রিঙ্কেশের জবাব, “সব মেয়েরাই তো আর এক রকম নয়। ভবিষ্যতে কখনও যদি মনের মতো কাউকে পাই, তো বিয়ে করব!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন