নরেন্দ্র মোদী। ছবি:ফাইল চিত্র।
অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার কথা। ভারত সফরে এসেছিলেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন। তখন বিদেশি অতিথির অভ্যর্থনার জন্য ভারতের এলাহি আয়োজন দেখে অবাকই হয়েছিলেন পশ্চিম এশিয়ার ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। এ বার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে এলাহি আয়োজন করতে চাইছে ইজরায়েলও।
এই প্রথম ইজরায়েল সফরে যাচ্ছেন ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী। ৪ জুলাই তেল আভিভের কাছে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা নরেন্দ্র মোদীর। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে থাকবেন খোদ ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বিমানবন্দরে মোদীকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার ভার দেওয়া হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইজরায়েলি গায়িকা লিওরা ইতজাককে।
পরে মোদীকে সঙ্গে নিয়ে ইজরায়েল সংগ্রহশালায় যাবেন নেতানিয়াহু। সেখানে ভারতীয় ইহুদি ঐতিহ্যেরও কিছু স্মারক আছে। তেল আভিভের এগ্জিবিশন গ্রাউন্ডে ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের জন্য ৫ জুলাই বক্তৃতা দেবেন মোদী। সেখানেও হাজির থাকবেন নেতানিয়াহু। গত কয়েক দশকে কোনও ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিদেশি অতিথিকে এমন অভ্যর্থনা জানাননি বলে দাবি সে দেশের সংবাদমাধ্যমের।
তবে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা যে কঠিন তাও ফের টের পাচ্ছে দিল্লি। মোদী এ যাত্রায় প্যালেস্তাইনের রামাল্লায় না যাওয়ায় তাঁর প্রশংসা করেছে ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম। তাদের মতে, বহু বিদেশি রাষ্ট্রনেতা রামাল্লা গেলেও মোদী সে পথে হাঁটছেন না।
এতে যে আরব দুনিয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে তা জানে সাউথ ব্লক। মন্ত্রকের কর্তারা জানান, ভারসাম্য রক্ষার জন্যই ২০১৫-তে পশ্চিম এশিয়া সফরের সময়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনে গিয়েছিলেন।