Ram Mandir Inauguration

মহাশূন্য থেকে অযোধ্যার রামমন্দির কেমন দেখতে লাগছে? স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ্যে আনল ইসরো

রাত পোহালেই অযোধ্যায় ‘মহোৎসব’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তাঁর হাত দিয়ে রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হবে। সেই উপলক্ষে ঢালাও আয়োজন করা হয়েছে অযোধ্যা

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩১
Share:

রামমন্দির। —ফাইল চিত্র।

রাত পোহালেই অযোধ্যায় ‘মহোৎসব’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তাঁর হাত দিয়ে রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হবে। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ঢালাও আয়োজন করা হয়েছে অযোধ্যায়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে অন্তত ৮০০০ মানুষ উদ্বোধনের সময়ে অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। যাবেন তারকা অতিথিরাও। সেই রামমন্দির মহাশূন্য থেকে কেমন দেখতে লাগছে, তার ছবি প্রকাশ্যে এল।

Advertisement

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ‘ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার’ (এনআরএসসি) নির্মীয়মাণ রামমন্দিরের স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ্যে এনেছে। যদিও এনআরএসসি জানিয়েছে, ছবিটি মাসখানেক আগের। গত বছর ১৬ ডিসেম্বর কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা সেই হয়েছে সেই ছবি। তাতে রামমন্দিরের পাশে দশরথ মহল এবং সরযূ নদীকেও দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে পুনর্নির্মীত অযোধ্যা স্টেশনও।

ইসরোর ‘ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার’ (এনআরএসসি) নির্মীয়মাণ রামমন্দিরের স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ্যে এনেছে।

সোমবার রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে ১২টা ৫ মিনিটে। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অযোধ্যার বাল্মীকি বিমানবন্দরে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে অযোধ্যার হেলিপ্যাডে পৌঁছবেন ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। ১০টা ৫৫ মিনিটে রামমন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। টানা ৫০ মিনিট ধরে অনুষ্ঠান চলবে। ১২টা ৫৫ মিনিটে সব আচার-অনুষ্ঠান সেরে উদ্বোধনস্থল ছেড়ে বেরোবেন প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দির উদ্বোধনের পর মোদী অযোধ্যায় একটি জনসভাও করবেন। রামমন্দিরের কাছেই মোদীর জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর ১টার মধ্যে তিনি সেখানে পৌঁছে যাবেন। ২টো পর্যন্ত চলবে সভা। জনগণের উদ্দেশে সেই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। এর পর অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান কুবের টিলায় যাওয়ার কথা মোদীর।

Advertisement

মন্দির উদ্বোধনের পর তা আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে মঙ্গলবার থেকে। প্রথম বার দরজা খুলবে সকাল ৭টায়। সে সময়ে পুণ্যার্থীরা মন্দিরে ঢুকতে এবং পুজো দিতে পারবেন। সাড়ে ১১টা নাগাদ আবার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আড়াই ঘণ্টার বিরতির পর আবার দুপুর ২টো থেকে দর্শনার্থীরা রামমন্দিরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবেন। দরজা বন্ধ হবে সন্ধ্যা ৭টায়। সারা দিনে মোট তিন বার রামমন্দিরে আরতি হবে। ভোরবেলা প্রথম আরতির সময় সাড়ে ৬টা। সকালের এই আরতিকে বলা হচ্ছে ‘জাগরণ আরতি’। এর পর দুপুর ১২টা থেকে রামমন্দিরে হবে ‘ভোগ আরতি’। শেষে ‘সন্ধ্যারতি’ হবে ৭টা নাগাদ। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে জানানো হয়েছে, দর্শনার্থীরা আরতি দিতে চাইলে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট আগে মন্দিরের ক্যাম্প অফিসে পরিচয়পত্র নিয়ে হাজির হতে হবে। সেখান থেকে আরতি দেওয়ার পাস সংগ্রহ করার পর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন