বিজ্ঞান নয়, ইসরো ব্যস্ত রকেটব্যান্ডে

ইসরোর প্রথম চাঁদে অভিযান ২০০৮ সালে, চন্দ্রযান-১। সে বারই অবশ্য তেরঙা পতাকা পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষকরা। তবে কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের মাটিতে নামেনি যান। কিন্তু এ বারের পরিকল্পনা আরও বেশি কিছু। নাসার ‘মিস কৌতূহলের’ মতো (কিউরিওসিটি, মঙ্গল রয়েছে সে) চাঁদের মাটিতে নামবে ভারতের ‘রোভার’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৭ ০৪:৩৯
Share:

অন্য-ভূমিকা: ভিডিও-র এক দৃশ্য।

রকেট সায়েন্স তো অনেক হল। দেশের ৭০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাল-নীল তার, অদ্ভুত-দর্শন সব যন্ত্রপাতি ছেড়ে স্প্যানিশ-গিটার ধরলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র বিজ্ঞানীরা। একটি মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন তাঁরা। নাম রেখেছেন ‘আই অ্যাম ইন্ডিয়ান’।

Advertisement

২০ সদস্যের দলটির নামও বেশ— ‘রক@ব্যান্ড’। তবে দলের বিজ্ঞানী-ইঞ্জিনিয়ার গাইয়েরা বলছেন, ‘এ হল রকেটব্যান্ড’।

কিন্তু হঠাৎ মিউজিক ভিডিওর পরিকল্পনা কেন?

Advertisement

ইতিমধ্যেই লালগ্রহে যান পাঠিয়েছে ইসরো। ‘মঙ্গলযান’-এর পর আগামী বছর ইসরোর পরবর্তী বড় পদক্ষেপ। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান-২’। ইসরোর গবেষণাগারে তাই চূড়ান্ত ব্যস্ততা। সহকর্মীদের উৎসাহ দিতে এবং দেশের একের পর এক নজির প্রচার করতেই ওই মিউজিক ভিডিওর পরিকল্পনা। ভিডিওয় দেখানো হয়েছে চাঁদের মাটিতে উড়ছে ভারতে পতাকা। অবশ্য সবটাই অ্যানিমেশনে।

আরও পড়ুন:শেষলগ্নে মোদী-মেল

ইসরোর প্রথম চাঁদে অভিযান ২০০৮ সালে, চন্দ্রযান-১। সে বারই অবশ্য তেরঙা পতাকা পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষকরা। তবে কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের মাটিতে নামেনি যান। কিন্তু এ বারের পরিকল্পনা আরও বেশি কিছু। নাসার ‘মিস কৌতূহলের’ মতো (কিউরিওসিটি, মঙ্গল রয়েছে সে) চাঁদের মাটিতে নামবে ভারতের ‘রোভার’। উপগ্রহে ফের উড়বে ভারতের পতাকা। রাশিয়া, আমেরিকা, জাপান ও চিনের পর ভারত হল পঞ্চম দেশ, যাদের এ নজির রয়েছে।

রকেটব্যান্ডের গোটা কাণ্ডকারখানা শেষ হতে সময় লেগেছে ১৮ মাস। আরব সাগরের ধারে ভিডিও শ্যুট করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় দশ হাজার টাকা। তবে সেটা নিজেদের পকেট থেকেই দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যান্ডের গান লিখেছেন এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার শিজু জি টমাস। বললেন, ‘‘রকেট উৎক্ষেপণের মতো কঠিন সব শব্দ নিয়েই দিনভর কেটে যায়। অবসর সময়ে ওই গান বেঁধেছি।’’

তবে যাই হোক, দেড় বছর সময়টা একটু বেশি হয়ে গেল না? এ প্রসঙ্গে টমাসের বক্তব্য, ‘‘আমাদের ইসরোয় প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। রকেট তৈরি তাঁদের কাছে বাঁ হাতের খেল। তুলনায় মিউজিক ভিডিও বানানোটাই একটু শক্ত। তবে এ তো আর রকেট-সায়েন্স নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন