স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জাতীয়তাবাদ নিয়ে তাঁর বক্তৃতার যে ভিডিও টুইট করেছেন, তাতে ঘোর বিপাকে পড়ে গিয়েছেন সেনাবাহিনীর জওয়ান শ্রীরাম গোরডে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাক-স্বাধীনতা ও জাতীয়তাবাদ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিজিজু একটি ভিডিও টুইট করেন। সঙ্গে মন্তব্য— ‘দুঃখের কথা যে আমাদের জওয়ানদের এত গভীর বেদনা নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে!’ ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, সেনার উর্দি পরেই এক জওয়ান জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সব ছাত্রছাত্রী আফজল গুরুর ফাঁসির জন্য শোক পালন করেছিলেন, তারাই দেশের আসল শত্রু।
সেনা সূত্র বলছে, ওই জওয়ানের নাম শ্রীরাম গোরডে। ৯ মরাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রির এই সেপাই এখন গুজরাতের জামনগরে মোতায়েন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সেনা জওয়ান হয়ে তিনি কী ভাবে কোনও প্রকাশ্য জনসভায় এই ধরনের বক্তৃতা করলেন! এ নিয়ে সেনার অন্দরমহলে তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভিডিওটি গত ডিসেম্বরে রাজকোটে তোলা। সেখানে শ্রী বৈদিক মিশন ট্রাস্ট প্রতি বছর দশ দিনের একটি শিবির আয়োজন করে। রাষ্ট্রীয় কথা শিবির নামের ওই সম্মেলনে দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ, সামাজিক ঐক্য, জাতীয় সংহতির বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা দেওয়া হয়। ওই জওয়ানের বক্তব্য, তিনি প্রতি বছরই ওই শিবিরে যান। এ বারও ওই শিবিরে গিয়ে তিনি নিজেই নিজের কথা বলতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অসহিষ্ণুতা নিয়ে ফের সরব রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়
সেনা অফিসারদের বক্তব্য, ওই জওয়ান হয়তো জানতেন না যে তাঁর বক্তৃতা রেকর্ডিং করা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ তাঁর কাছে প্রকাশ্য সভায় বক্তৃতা করার অনুমতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। না থাকলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শাস্তি হতে পারে গোরডের। এই ভাবে কোনও জওয়ানের বক্তব্যকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করারই বিরুদ্ধে কংগ্রেস।
দলের নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বক্তব্য, ‘‘যে বিজেপি এত দেশপ্রেমের কথা বলছে, সেই দলের নেতারাই মধ্যপ্রদেশে আইএসআই-এর চর হিসেবে ধরা পড়ছে। বিজেপির মুখে দেশভক্তির কথা মানায় না।’’