কয়েদিদের শ্লীলতাহানির গোপন ভিডিও ফাঁস, জেলেযাত্রা সুপারের

‘স্টিং অপারেশন’ নিয়ে যখন বাংলার রাজনীতি উত্তাল সেই সময়ে বিহারেও চলেছে একই পদ্ধতিতে তোলা বিভিন্ন অপকর্মের ভিডিওর রমরমা। ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনই এক ভিডিওর জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে কিষাণগঞ্জ জেলের সুপারকে। তদন্ত শুরু হয়েছে সহরষার এসডিপিওর দেহরক্ষী এবং গাড়ি চালকের বিরুদ্ধেও। প্রতিদিনই স্থানীয় স্তরের নেতা বা সরকারি আধিকারিকদের অপকর্মের গোপন ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৬ ০৩:৩১
Share:

‘স্টিং অপারেশন’ নিয়ে যখন বাংলার রাজনীতি উত্তাল সেই সময়ে বিহারেও চলেছে একই পদ্ধতিতে তোলা বিভিন্ন অপকর্মের ভিডিওর রমরমা। ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনই এক ভিডিওর জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে কিষাণগঞ্জ জেলের সুপারকে। তদন্ত শুরু হয়েছে সহরষার এসডিপিওর দেহরক্ষী এবং গাড়ি চালকের বিরুদ্ধেও। প্রতিদিনই স্থানীয় স্তরের নেতা বা সরকারি আধিকারিকদের অপকর্মের গোপন ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

বেশ কয়েকদিন ধরেই ইউটিউবে কিষাণগঞ্জের জেল-সুপার কৃপাশঙ্কর পাণ্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক নাবালিকার সঙ্গে জেল চত্বরেই অশ্লীল ব্যবহার করছেন কৃপাশঙ্কর। ভিডিওটি সামনে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্য কারা দফতরের আইজি আনন্দ কিশোর। এর পর কিষাণগঞ্জ জেলে থাকা কয়েক জন কয়েদি কৃপাশঙ্করের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগও দায়ের করেন। গত কাল গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় কৃপাশঙ্কর পাণ্ডেকে। গত রাতে জেলে বন্দি কৃপাশঙ্করের জন্য

কী কী বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে তার ছবিও ফেসবুক-ইউটিউবে পৌঁছে গিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, জেলে থাকলেও প্রায় সমস্ত আরামের ব্যবস্থাই করা হয়েছে কৃপাশঙ্করের জন্য। এই ঘটনায় বিব্রত রাজ্য প্রশাসন। বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আইজি-কারা আনন্দ কিশোরকে গোটা ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন তিনি।

Advertisement

এ দিকে, সহরষা জেলার দুই পুলিশ কর্মীর কাজকর্মও সামনে এসেছে। সহরষার সদর এসডিপিও-র গাড়ির চালক এবং দেহরক্ষী স্থানীয় এক হোটেলে বসে জমি দখলে অভিযুক্ত এক ব্যাক্তির সঙ্গে মদ্যপান করছেন। দেখা যাচ্ছে, সেখানে তাঁরা ‘সাহেব’কে বলে ওই অভিযুক্তকে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন। ভিডিও সামনে আসায় জেলা পুলিশ সুপার ওই দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছেন।

আগেও একাধিক বার বিহারের কয়েক জন রাজনৈতিক নেতার অপকর্মের ভিডিও সামনে এসেছে। কোথাও অশ্লীল নাচ বা গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। পুলিশ অবশ্য প্রতিক্ষেত্রেই মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নিয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশিটও জমা দিয়েছেন তাঁরা। তবে পরিস্থিতি তাতে যে খুব পাল্টায়নি, গত দু'দিনের ভিডিও ফের তা প্রমাণ করে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন