কয়েদিদের আক্রমণের শিকার হলেন করিমগঞ্জের জেল সুপার হবিবুর রহমান। জেলের প্রায় ১০ জন কয়েদি আজ গ্রিল ভেঙ্গে তাঁর উপর আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীন সিংহের নেতৃত্বে করিমগঞ্জ সদর থানার পুলিশ জেলে ছুটে যান। সুপার হবিবুর রহমান এ বিষয়ে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
করিমগঞ্জ জেলে দীর্ঘ দিন ধরেই অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ। কারাবাসের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও অনেক কয়েদিকে বন্দি থাকতে হচ্ছে। জেলে যতজন কয়েদি থাকার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি কয়েদিকে সেখানে রাখা হয়। তা ছাড়া যে ধরনের খাবার সরবরাহ করা হয় তাও অতি নিম্নমানের বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে কয়েদিরা বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানিয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। কয়েদিদের অভিযোগ, বাজার থেকে পচা মাছ, সব্জি কিনে আনা হয়। তরকারি কিংবা মাছ মুখে দেওয়ার অযোগ্য। কয়েদিরা মুখ খুললেই তাদের নানা ভাবে শায়েস্তা করা হয়। অভিযোগ, গত রবিবার নিম্নমানের খাবার দেওয়ায় কয়েদিদের একাংশ প্রতিবাদ করেছিল। তারপরই জনাকয়েক কয়েদিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। আজ পুনরায় জেল সুপারের সামনে হাজির থাকতে বলা হয় কয়েদিদের। জানা গিয়েছে, সুপার যখন কাজে ব্যস্ত ছিলেন তখনই কয়েকজন কয়েদি গ্রিল ভেঙ্গে তাঁর ঘরে প্রবেশ করে। চেয়ার, টেবিল উল্টে দেয়, সুপারকে মারধর করে। সুপার অবশ্য নিম্নমানের খাবার সরবরাহের কথা অস্বীকার করেছেন।