উন্মত্ত জনতা পুড়িয়ে দিয়েছে গাড়িটি। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
পুলিশের রুটিন টহলদারি চলছিল। সেই সময়ে বাইকের পিছনে প্রেমিকাকে বসিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। পুলিশ তাঁকে দাঁড়াতে বলে। কিন্তু, তিনি তা শোনেননি। আইন না মানায় কর্তব্যরত এক কনস্টেবল তাঁদের উপর লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে জয়পুরের রামগঞ্জে ঘটনাটি ঘটে।
এর পরেই গোটা এলাকা রীতিমতো তাণ্ডবের পরিস্থিতি নেয়। ওই রাতেই শ’য়ে শ’য়ে মানুষ রামগঞ্জ থানা ঘেরাও করে। থানার ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। উন্মত্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ছুড়তে হয় রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস। তাতেও তাঁদের থামানো যায়নি। জখম হন ১০ জন পুলিশকর্মী। তাণ্ডব ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের মানাক চক, সুভাষ চক, গলতা গেট থানা এলাকাতেও।
আরও পড়ুন: রাম রহিমের ডেরায় মিলল বিস্ফোরক তৈরির কারখানাও!
রামগঞ্জে একটি পাওয়ার হাউস, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়ি এবং একটি অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন লাগানো হয়। হামলা চালানো হয় খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের উপরেও। উন্মত্ত জনতার উপরে লাঠিচার্জ করে, গুলি চালিয়ে পুলিশ তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনে।
জয়পুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অগ্রবাল জানিয়েছেন, রামগঞ্জ, মানাক চক, সুভাষ চক এবং গলতা গেট এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় মহম্মদ রইস নামে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে ঘটনাটি তাণ্ডবের চেহারা নিল তা তদন্ত করছে পুলিশ।