National News

জঙ্গিদমনে সাফল্য সেনার, কাশ্মীরে খতম শীর্ষ জইশ নেতা

ভারতীয় সেনার মুখপাত্র রাজেশ কালিয়া জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে পুলওয়ামার সাম্বুরা এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় পুলিশ, বিএসএফ এবং সেনা। সাম্বুরার একটি গ্রামের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল নুর মহম্মদ ও তার সঙ্গীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পুলওয়ামা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:৪২
Share:

সাম্বুরার একটি গ্রামের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল নুর মহম্মদ ও তার সঙ্গীরা। ছবি: সংগৃহীত।

কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদমনে বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হল জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা নুর মহম্মদ-সহ ২ জঙ্গি। সেনা সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় এক অভিযানে মঙ্গলবার সকালে নিহত হয়েছে দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত নুর।

Advertisement

ভারতীয় সেনার মুখপাত্র রাজেশ কালিয়া জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে পুলওয়ামার সাম্বুরা এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় পুলিশ, বিএসএফ এবং সেনা। সাম্বুরার একটি গ্রামের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল নুর মহম্মদ ও তার সঙ্গীরা। অভিযানের শুরুতেই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে একে একে তল্লাশি শুরু করে যৌথ বাহিনী। এর পর নুরের আস্তানাটি ঘিরে ফেলা হয়। সে সময় ওই বাড়ির ভিতর থেকে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালায় সেনা। এর পর যৌথ বাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয় জঙ্গিদের। রাতভর গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় নুর ও তার এক সঙ্গী। পুলিশের দাবি, এখনও ওই এলাকায় আরও কয়েক জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই সেনার ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিল ৪৭ বছরের নুর মহম্মদ তান্ত্রে ওরফে নুরা ত্রালি। কাশ্মীর উপত্যকায় জইশের ডিভিশনাল কম্যান্ডার হিসেবে কাজ করত সে। মাত্র চার ফুট উচ্চতার নুর ২০০৩ সালে দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ছিল। সে বছরই দিল্লিতে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন
নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে ফের হামলা ভারতের, নিহত ৩ পাক সেনা

২০১১-তে ওই মামলায় নুর-ছাড়া আরও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এর পর ২০১৫-তে প্রথম প্যারোলে মুক্তি পায় সে। তার পর বেশ কয়েক বার জেলে ফিরলেও বার বার জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট প্যারোলের আর্জি জানায় সে। আদালতে সে আবেদনও মঞ্জুর হয়। চলতি বছরের জুলাইতে ফের প্যারোলে মুক্তি পায় নুর। এর পর কাশ্মীর উপত্যকায় জইশের সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করত সে। গত অক্টোবরে শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে বিএসএফ শিবিরে গ্রেনেড হামলার পিছনে তার হাত ছিল বলে অভিযোগ।

এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুন
পাঁচ বছর পর কংগ্রেসকে ফেরার সুযোগ দেব না, একান্ত সাক্ষাৎকারে ঠাকুর

কাশ্মীরের আইজি মুনীর খান বলেন, “আমাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল নুর। তার খোঁজে গত কাল সাম্বুরার এক গ্রামে যৌথ অভিযান চালানো হয়েছিল। সেখানেই যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আজ সকালে নিহত হয় নুর।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন