প্রতীকী ছবি।
শ্রীনগরে শৌরা এলাকায় রবিবার জঙ্গিদের হাতে খুন হন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কর্মী ফারুক আহমেদ। সেই হত্যার পিছনে কারা রয়েছে তা নিয়ে এ বার মতপার্থক্যে জড়িয়ে পড়ল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জম্মু-কাশ্মীরের ডিজি এস পি বৈদ্যের মতে, ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী। কিন্তু আজ হত্যার পিছনে আইএসের হাত থাকার সম্ভাবনা একেবারেই খারিজ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রকর্তারা। তাঁদের দাবি, উপত্যকায় আইএসের সমর্থক থাকতে পারে। কিন্তু হত্যার পিছনে তাদের ভূমিকাই নেই।
রবিবারে শ্রীনগরে পুলিশ কর্মী ফারুক আহমেদকে হত্যা করে তাঁর অস্ত্র ছিনতাই করে জঙ্গিরা। পরের দিন সোমবার আইএস দাবি করে, ওই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে আইএস। তারা হত্যার পরে রাইফেল ছিনতাই করে পালিয়েছে। পরে অন্য সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘‘যুদ্ধ সবে শুরু।’’ এ নিয়ে ডিজি বৈদ্য জানান, ‘‘হামলার পিছনে আইএসের হাত রয়েছে। তারা উপত্যকায় উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। যা উদ্বেগের বিষয়। কারণ কাশ্মীরে আইএসের উপস্থিতি একটি অন্য মাত্রা বহন করে।’’
পুলিশ প্রধান আইএসের হামলার কথা স্বীকার করে নেওয়ায় অস্বস্তিতে কেন্দ্র। ডিজির বক্তব্য সামনে আসতেই আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ স্তর থেকে জানানো হয়, ডিজি যা বলছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মনে করে না যে ওই হামলার পিছনে আইএসের হাত আছে। কারণ উপত্যকায় আইএসের লোকবল বা হামলা চালানোর মতো পরিকাঠামো নেই। শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেল থেকে ৪০ জন জঙ্গি নেতা ও তাদের সমর্থকদের উপত্যকার বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। সম্প্রতি পাক জঙ্গি নাভিদ জাট পুলিশ হেফাজত থেকে পালায়। তখন শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেলে জঙ্গিদের অবাধ কাজ নিয়ে টনক নড়ে প্রশাসনের। গোয়েন্দারা জানান, নাভিদকে কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে তাও জেল থেকেই ফাঁস করা হয়। ওই জেল জঙ্গিদের সরানো শুরু হয়। পাক জঙ্গি জিয়া মুস্তাফা, লস্কর সদস্য আশফাক আহমেদ বাট, হিজবুল জঙ্গি আমির নাহি ওয়াগি-সহ বেশ কিছু বন্দিকে উপত্যকার বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।