বহু বছর বস্তারেই, ক্লান্ত জওয়ানরা

অনুন্নয়ন নিত্য সঙ্গী। তার উপর মাওবাদীদের স্বর্গরাজ্য। এটাই ছত্তীসগঢ়ের বস্তার, সুকমা। সেই ছত্তীসগঢ়েই দিনের পর দিন পড়ে থাকতে হচ্ছে সিআরপিএফ জওয়ানদের। ফলে তাঁরা ক্লান্ত। বিধ্বস্ত। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

অনুন্নয়ন নিত্য সঙ্গী। তার উপর মাওবাদীদের স্বর্গরাজ্য। এটাই ছত্তীসগঢ়ের বস্তার, সুকমা। সেই ছত্তীসগঢ়েই দিনের পর দিন পড়ে থাকতে হচ্ছে সিআরপিএফ জওয়ানদের। ফলে তাঁরা ক্লান্ত। বিধ্বস্ত। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা।

Advertisement

গত মাসে সুকমাতেই মাওবাদী হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১২ জন সিআরপিএফ জওয়ান। গত সোমবার দুপুরে এই সুকমাতেই ফের বড়সড় হামলা চালায় মাওবাদীরা। নিহত হন ২৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান। এই হামলার পরেই ছত্তীসগঢ়ে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বস্তার এলাকায় মাওবাদী দমন অভিযানে ৪৫ হাজার সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় রয়েছেন। যেখানে নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের তিন বছর মোতায়েন থাকার কথা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘বেশির ভাগ সিআরপিএফ জওয়ান সুকমায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে মোতায়েন রয়েছেন। ফলে সেই সব জওয়ানের চোখে-মুখে ধরা পড়েছে ক্লান্তির ছাপ।’’ একই জায়গায় বছরের পর বছর থাকার ফলে কাজটাও জওয়ানদের কাছে খুব একঘেয়ে হয়ে পড়ছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্তা।

আর তা এতটাই একঘেয়ে যে, জওয়ানরা বস্তারের বদলে কাশ্মীরেও কাজ করতে রাজি। যেখানে জঙ্গি হামলা আর সেনাবাহিনীকে লক্ষ করে ক্ষুব্ধ জনতার পাথর ছোড়া রোজকার ঘটনা। তাই ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী দমনে নিযুক্ত জওয়ানদের মনোবল বাড়ানোর জন্য সব রকম পরিকাঠামো এবং অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ছত্তীসগঢ়ের আধা সামরিক জওয়ানদের কাছে ৫৮টি মাইন প্রতিরোধকারী গাড়ি রয়েছে। আরও ৩০টি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। জওয়ানদের কাছে বুলেট-বিরোধী গাড়ি রয়েছে ৪২টি। আরও ২১০টি গাড়ি দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement