দেশের অর্থনীতি প্রশংসায় জয়ন্ত। ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের দিকে ছোড়া বাবার শক্তিশেলের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ছেলে।
দেশের বেহাল অর্থনীতি নিয়ে বুধবারই কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর ছেলে জয়ন্ত সিন্হার মুখে শোনা গেল দেশের অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো অত্যন্ত মজবুত বলে দাবি করে জয়ন্ত বলেন, “বর্তমান অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সুনিশ্চিত। অদূর ভবিষ্যতে তৈরি হবে একাধিক চাকরির সুযোগ।”
আরও পড়ুন: দ্রুত অর্থনীতির হাল ফেরানো অসম্ভব, তোপ যশবন্তের
জয়ন্ত অবশ্য সরাসরি বাবার বক্তব্য নিয়ে কিছু বলেননি। তাঁর দাবি, বেশ কয়েক দিন ধরে কেন্দ্রের আর্থিক নীতি নিয়ে একাধিক প্রবন্ধ ও বিশ্লষণ বেরোচ্ছে। যার অধিকাংশই ভুল বলে দাবি তাঁর। সঠিক তথ্য তুলে ধরতেই বৃহস্পতিবার একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে ওই প্রবন্ধটি লেখেন জয়ন্ত। জয়ন্ত সেখানে লেখেন, “বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো দুর্বল বলে দাবি করছেন। তাঁরা স্বল্প সময়ের কিছু রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে অবস্থার ভুল ব্যাখ্যা করছেন। বৃহত্তর পরিসরে দেখলে বোঝা যাবে, দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত সুদৃঢ় এবং তা একেবারে সঠিক পথে চলছে। অদূর ভবিষ্যতে যে একাধিক চাকরির সুযোগ তৈরি হবে সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।”
বুধবার একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত লেখায় অর্থনীতির হাল নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে সরাসরি আক্রমণ করেন যশবন্ত সিন্হা। জানান, আর্থিক সংস্কারের পরে জেটলি সব চেয়ে ভাগ্যবান অর্থমন্ত্রী। কিন্তু বিশ্ব বাজারে তেলের কম দামের হাত ধরে যে-সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন, গত ক’বছরে তা কাজে লাগাতে পারেননি। এখন ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা বা আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ তৈরি করেও লোকসভা ভোটের আগে অর্থনীতির হাল ফেরানো অসম্ভব, মত সিন্হার।
সিনিয়র সিন্হার মন্তব্য সমর্থন করলেও জুনিয়র সিন্হাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। একাধিক টুইট করে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, জয়ন্তর কথা সঠিক হলে জিডিপি বৃদ্ধি শেষ পাঁচ কোয়ার্টারে নিম্নমুখী কেন? কেনই বা বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে না? চিদম্বরমের দাবিকে আরও জোরালো করেছে একটি রিপোর্ট। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি কমে ৬.৭ শতাংশে দাঁড়াবে।