শরদ যাদব। ছবি: সংগৃহীত
নীতীশের বিরোধিতা করে শরদ যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় দলের ২১ জন ‘প্রাক্তন’ বিধায়ক-সাংসদকে বহিষ্কার করল জেডিইউ নেতৃত্ব। তবে শরদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও চরম কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দল। আজ দলের রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ ওই ২১ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রামাইয়া রাম, প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন রাইয়ের মতো প্রবীণ নেতাও।
তবে দলের বিধায়করা নীতীশের সঙ্গেই রয়েছেন। রাজ্যসভার তিন সাংসদ—শরদ যাদব, আলি আনোয়ার ও কেরলের এ পি বীরেন্দ্র কুমার ছাড়া আর সকলেই নীতীশের দিকে। তার মধ্যে আলি আনোয়ারকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। সম্প্রতি শরদকে দলের রাজ্যসভার নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নীতীশ কুমার। সাফ জানিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারলে শরদ নিজের রাস্তা দেখুন। তবে বাকি সাত রাজ্যসভা সাংসদ ও লোকসভার দুই সাংসদ নীতীশের দিকেই রয়েছেন।
দলের সংসদীয় বা পরিষদীয় শক্তি নীতীশের সঙ্গে থাকলেও জেডিইউয়ের গুজরাত শাখার সভাপতি অরুণ শ্রীবাস্তব দাবি করেছেন, জেডিইউয়ের ১৪ জন রাজ্য সভাপতির সমর্থনের চিঠি শরদের কাছে রয়েছে।
এই সমর্থনের জোরে তাঁদের গোষ্ঠীই ‘আসল’ জেডিইউ বলে দাবি করেছেন শ্রীবাস্তব। তাঁরা এই নথি নিয়ে নির্বাচন কমিশনেও যাচ্ছেন বলে শরদ শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে। শরদ অনুগামীদের দাবি, বিহারে দলের একাংশও নীতীশের সিদ্ধান্ত মানছেন না। রাজ্য সফরে যাওয়া শরদকে তাঁরা তা জানিয়েছেন। প্রয়োজনে বিহারে দলের পাল্টা শাখা গড়ার চিন্তাও তাই শরদ অনুগামীদের রয়েছে। এ বিষয়ে লালুপ্রসাদও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।