মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস তখন রাজ্যে ‘ক্যাসলেস’ লেনদেন চালুর বার্তা দিচ্ছেন। ভিড়ের মধ্যে ওই সময়ই ফিসফিসিয়ে কথা চলছে— ‘নোটের অভাবে ঝাড়খণ্ডের গ্রামগঞ্জে নগদহীন বিনিময় প্রথা চালুর খবর হয়তো পাননি মুখ্যমন্ত্রী’। এমনই ছবি দেখা গেল রাঁচী বিধানসভা লাগোয়া ময়দানে একটি সভায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৩১ মার্চের মধ্যে ঝাড়খণ্ডে পুরোপুরি নগদহীন লেনদেন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সে জন্য কম দামের একটি স্মার্টফোন থাকলেই হল।
ভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষকেরা জানালেন, নোট বাতিলের পর রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে চলছে বিনিময় প্রথা। রাতু ব্লকের পালি পঞ্চায়েতের কৃষক বিনোদ কুমার বলেন, ‘‘ধানের বদলে মিলছে রান্নার তেল, ডাল, ফুলকপির বিনিময়ে বাচ্চার দুধ। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কম দামের স্মার্টফোন থাকলেই সামিল হওয়া যাবে নগদহীন লেনদেন প্রথায়। তা শুনে লাতেহারের কৃষক রাজু কুমার বললেন, ‘‘কয়েক মাস আগে গ্রামের মোবাইল টাওয়ারে মাওবাদীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। ফোনে কথা বলার জন্য সিগন্যালই থাকে না। ফোন কিনলেও ইন্টারনেট করব কী করে!’’