জিসার ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড

অসম থেকে কেরলে আসা শ্রমিক আমিরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। ওই মামলায় সে গতকাল দোষী সাব্যস্ত হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

আইনের ছাত্রী ও দলিত তরুণী জিসার ধর্ষণ ও খুনের মামলায় কর্মসূত্রে অসম থেকে কেরলে আসা শ্রমিক আমিরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। ওই মামলায় সে গতকাল দোষী সাব্যস্ত হয়।

Advertisement

আজ বিচারক এন অনিল কুমার জানান, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। ২০১৬-র ১৮ এপ্রিল, জিসার মা রাজেশ্বরী রাত সাড়ে আটটায় পেরুম্বাভুরের খালের ধারে তাঁদের ঘরে ফিরে মেয়ের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পেয়েছিলেন। ময়নাতদন্তে জিসার গোটা মাথায় ৩০টা ক্ষত মেলে, তার অন্ত্রও ছিঁড়ে গিয়েছিল। অত্যাচারের নৃশংসতায় দিল্লি গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের সঙ্গে মিল থাকায় ‘কেরলের নির্ভয়া’ বলে পরিচিত হয় জিসা। খালের ধারে পাওয়া যায় রক্তমাখা চপ্পল। জিসার এক প্রতিবেশী সাবু মাথাই ঘটনার পরে ঘর থেকে আমিরুলকে বেরতেও দেখেছিলেন। ঘটনার ৫০ দিন পরে, কাঞ্চিপুরম থেকে গ্রেফতার করা হয় আমিরুলকে। সে কবুল করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এই অপরাধ করেছিল সে। আমিরুলের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে প্রচার চালান জিসার মা রাজেশ্বরী এবং তাঁর ন’জন সহপাঠী।

তদন্তের সময়ে ডিএনএ প্রযুক্তির সাহায্য নেয় বিশেষ সাহায্যকারী দল। পাঁচ হাজার লোকের আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। আমিরুলকে গ্রেফতার করার আগে বেশ কয়েকটি মোবাইলে আড়ি পাতা হয়। আমিরুলের কৌঁসুলি সওয়ালের সময়ে জানান, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। সে অসমিয়া ছাড়া কিছু জানায় বিচারের কিছুই বুঝছে না। তা ছাড়া, ঘটনাটির কোনও প্রত্যক্ষদর্শীও নেই। তাই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে না।

Advertisement

কিন্তু সরকারি কৌঁসুলি জানান, আমিরুল যৌন বিকৃতি সম্পন্ন অপরাধী। তাঁর যুক্তি মেনেছে কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement