JNU

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই চলছিল জেএনইউ হামলার প্রস্তুতি, ৩৭ জনকে চিহ্নিত করল পুলিশ

পুলিশের তালিকায় থাকা অভিযুক্ত ৩৭ জনের একজন মনীশ জগনীদ। জেএনইউ-এর অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সম্পাদক।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৫৭
Share:

রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলাকারীদের একটি দল। পিটিআই

জেএনইউ হামলার সঙ্গে যুক্ত ৩৭ জনকে চিহ্নিত করল দিল্লি পুলিশ। তাদের দাবি, ‘ইউনিটি এগেনস্ট লেফট’ নামক ৬০ জনের একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের বহু সদস্য রবিবারের হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের একটি সূত্র আরও জানাচ্ছে, সেদিনের হামলায় জড়িত এই গ্রুপের সদস্যদের ১০জন বহিরাগত।

Advertisement

পুলিশের তালিকায় থাকা অভিযুক্ত ৩৭ জনের একজন মনীশ জগনীদ। জেএনইউ-এর অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সম্পাদক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন মনীশ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘‘আমার ফোন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাই সারাতে দিয়েছিলাম। ফোন হাতে পেয়ে দেখি কেউ আমাকে ওই গ্রুপে যুক্ত করেছে।’’

এ দিন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদীশ কুমার বৈঠক করেন ছাত্রদের সঙ্গে। পরে সংবাদমাধ্যেমের কাছে বহিরাগত তত্ত্ব খাড়া করেন তিনি। তার কথায়, বহু বাইরের ছেলেমেয়ে বেআইনি ভাবে হোস্টেলে থাকছে। যে কোনও নৈরাজ্যে তারা অংশগ্রহণ করতে পারে কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ অবশ্য বলছে কোনও আহত ছাত্রের সঙ্গে দেখা করেননি উপাচার্য। উপাচার্যের ইস্তফার দাবিতে তাঁরা এখনও অনড়।

জেএনইউয়ে হামলার পরেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র দিকে‌। ওই হামলার একাধিক ছবি এবং এই সংক্রান্ত ‘পরিকল্পনার’ হোয়্যাটসঅ্যাপ কথোপথন ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ এবং জেএনইউয়ের সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত উপাচার্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব নিশানা করেন বাম ছাত্র সংগঠনগুলিকেই। তবে দিল্লি পুলিশের গত বৃহস্পতিবার হিংসার ঘটনায় জড়িতদের যে ছবি পেশ করেন, তাতে যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ, বিকাশ পাটিল নামক দুই এবিভিপি সমর্থকেরও ছবি ছিল।

অন্য দিকে, উপাচার্য এম জগদেশ কুমারও প্রথম থেকেই হিংসার দায় বামপন্থী ছাত্র সংসদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। সেই সঙ্গেই দাবি করেন, রবিবার সন্ধ্যার তাণ্ডবের শিকড় আসলে সিমেস্টার পরীক্ষার জন্য অনলাইন নথিভুক্তি রুখতে ১ ও ৪ জানুয়ারি আন্দোলনকারীদের সার্ভার রুম তছনছ করা থেকে। ওই ঘটনায় ঐশী-সহ ২০ জনের নামে এফআইআর করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন