সাংবাদিককে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার শুনানি শুরু ১৫ জুন। নিহত সাংবাদিক যোগেন্দ্র সিংহের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয়েছে তাতে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার। যোগেন্দ্রর বড় ছেলে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখবেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠরা তাঁকে ঘুষ আর সরকারি চাকরির টোপ দিচ্ছে।
ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ১ জুন পুলিশি তল্লাশির নামে যোগেন্দ্র সিংহের বাড়িতে ঢ়ুকে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী রামমূর্তি বর্মা ও পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় সপ্তাহখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর ৮ জুন হাসপাতালে মৃত্যু হয় যোগেন্দ্রর। ঘটনায় এফআইআর হয় রামমূর্তি-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে। শনিবার অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। শাহজাহানপুরে যোগন্দ্রের বাড়িতে এ দিন সকালে যান সমাজবাদী পার্টি নেতা মিথিলেশ কুমার। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান নিহতের পরিবার।
এ দিকে রামমূর্তিকে বহিষ্কারের দাবিতে ক্রমে অখিলেশ সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। শনিবার এ নিয়ে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অখিলেশ। দলীয় সূত্রের খবর, রাম মূর্তিকে বহিষ্কারের প্রশ্নে এখন দু’ভাগে বিভক্ত সমাজবাদী পার্টি। সরকারের মান বাঁচাতে এক দিকে অখিলেশপন্থীরা চাইছেন রামমূর্তিকে সরিয়ে দিতে। অন্য দিকে কুর্মি ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে রামমূর্তিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন না দলীয় প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদব আর অন্যতম শীর্ষ নেতা রামগোপাল যাদব। সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক ভুকাল নবাব বলেছেন, ‘‘যোগেন্দ্রর সঙ্গে যা হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এর বিরোধিতা করি। তবে যোগেন্দ্র সাংবাদিক ছিলেন না।’’