National News

এ বার সাংবাদিকের গাড়ি রুখে বজরং হুঙ্কার, ‘জয় শ্রীরাম বলো, নইলে...’

এনডিটিভি’র সাংবাদিক মুন্নে ভারতীর অভিযোগ, গত ২৯ জুন তিনি যখন সপরিবারে তাঁর বৈশালীর বাড়ি থেকে সমস্তিপুরে তাঁর মামার বাড়িতে যাচ্ছিলেন, তখন মুজফ্‌ফরনগরে ২৮ নম্বর জাতীয় সড়কে টোল বুথ থেকে এক কিলোমিটার দূরে গেরুয়া পোশাক পরা বজরং দলের ৪/৫ জন রাস্তায় বাঁশ ফেলে দিয়ে তাঁর গাড়ি আটকায়। তার পর ভারতীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বলা হয়। না হলে তাঁর গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ১৮:০৭
Share:

সেই নিগৃহীত সাংবাদিক মুন্নে ভারতী। ছবি ফেসবুকের সৌজন্যে।

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির জোরালো আশ্বাসের পরেও ফের অসহিষ্ণুতার ঘটনা ঘটল।

Advertisement

এ বার এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল বজরং দলের বিরুদ্ধে। বিহারে। ওই সাংবাদিক ও তাঁর পরিবারকে বাধ্য করা হল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে।

এনডিটিভি’র সাংবাদিক মুন্নে ভারতীর অভিযোগ, গত ২৯ জুন তিনি যখন সপরিবারে তাঁর বৈশালীর বাড়ি থেকে সমস্তিপুরে তাঁর মামার বাড়িতে যাচ্ছিলেন, তখন মুজফ্‌ফরনগরে ২৮ নম্বর জাতীয় সড়কে টোল বুথ থেকে এক কিলোমিটার দূরে গেরুয়া পোশাক পরা বজরং দলের ৪/৫ জন রাস্তায় বাঁশ ফেলে দিয়ে তাঁর গাড়ি আটকায়। তার পর ভারতীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বলা হয়। না হলে তাঁর গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

Advertisement

সাংবাদিক মুন্নে ভারতীর টুইট
@NitishKumar समसतीपुर के मारगन चौक पर बजरंग दल ने नेशनल हाईवे को रोका, मेरी कार को रोक कर कहा जय श्रीराम वरना कार फूँक देंगे,जान बचाकर वापस pic.twitter.com/lXrBH7FIYO

সাংবাদিক ভারতী জানিয়েছেন, ওই দিন তাঁর গাড়িতে ছিলেন তাঁর বাবা ও মা। বাবার লম্বা দাড়ি রয়েছে। আর ছিলেন ভারতীর স্ত্রী। তিনি বোরখা পরেছিলেন। বাবা, মা ও স্ত্রীকে নিয়ে ভারতী যাচ্ছিলেন তাঁর মামার বাড়িতে। অসুস্থ মামাকে দেখতে।

আরও পড়ুন- ঝাড়খণ্ডে মাংস ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপি নেতা

সাংবাদিক মুন্নে ভারতীর অভিযোগ, ‘‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি না দিলে ওরা (পড়ুন, বজরং দলের কর্মী, সমর্থকরা) আমার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে আমরা রেহাই পাই।’’

পরে গোটা ঘটনাটি ভারতী টুইট করেন আর সেই টুইটে ট্যাগ করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। গোরক্ষার নামে কোনও রকমের হিংসা বা অসহিষ্ণুতাকে বরদাস্ত করা হবে না বলে গত বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement