মেডিক্যালে অভিন্ন জয়েন্টে কেন্দ্রের আনা অধ্যাদেশ কার্যকর করা নিয়ে আজ রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়ে গেল। কাল তিন দিনের চিন সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সরকার চাইলেও, প্রণববাবু দিল্লি ছাড়ার আগে ওই অধ্যাদেশে সাক্ষর করে যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে কেন্দ্র। অধ্যাদেশটি কেন আনা হয়েছে সেই ব্যাখ্যা দিতে আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা। মন্ত্রী পরে জানান, তিনি আশা করছেন যে দ্রুত ওই অধ্যাদেশে ছাড়পত্র দিয়ে দেবেন প্রণববাবু।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটে মেডিক্যালে অভিন্ন জয়েন্ট পরীক্ষা এক বছরের জন্য স্থগিত রাখার জন্য অধ্যাদেশ এনেছে কেন্দ্র। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অধ্যাদেশটি পাশ হওয়ার পরে তা সাক্ষরের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। বিচারব্যবস্থা বনাম প্রশাসনের এই টানাপড়েনে বিষয়টি নিয়ে আইনি মতামত চান প্রণববাবু। সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসনের নির্দেশকে কেন্দ্র করে হওয়া অস্বস্তি এড়াতেই অভিন্ন জয়েন্ট প্রশ্নে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আইনজ্ঞদের দ্বারস্থ হন রাষ্ট্রপতি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়পত্র দেওয়ার পর থেকেই ওই অধ্যাদেশের প্রতিবাদে সরব হয় কেজরীবাল ও কংগ্রেস শিবির। দু’পক্ষেরই দাবি, ব্যবসায়ী লবির স্বার্থে ওই অধ্যাদেশ আনতে চাইছে সরকার। আম আদমি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে ওই অধ্যাদেশে সাক্ষর না করার জন্যও অনুরোধ করা হয়। যদিও সরকারের বক্তব্য, বিভিন্ন রাজ্য বোর্ডের মেডিক্যালে পড়তে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের কথা ভেবে এ বছর ওই এককালীন ছাড় আনা হয়েছে। কিন্তু আগামী বছর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিন্ন জয়েন্ট পরীক্ষায় বসতেই হবে। আজ বৈঠকে নড্ডা রাষ্ট্রপতিকে বোঝান, অভিন্ন জয়েন্ট হঠাৎ করে এ বছর থেকে চালু হলে রাজ্য বোর্ডের পড়ুয়াদের ভিন্ন পাঠ্যক্রম ও ভাষার কারণে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে। বৈঠক শেষে নড্ডা বলেন, ‘‘আমি আশাবাদী, রাষ্ট্রপতি খুব দ্রত ওই অধ্যাদেশটিতে ছাড়পত্র দেবেন।’’ অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পরে অধিকাংশ রাজ্যকে নতুন করে মেডিক্যালের পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু আজ রাতের মধ্যে প্রণববাবু সবুজ সঙ্কেত না দিলে অধ্যাদেশটি জারি করতে এ সপ্তাহ কেটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কেন্দ্র। দেরি করে অধ্যাদেশ জারি করার মানে হলো এ বছর মেডিক্যালের ক্লাস শুরু করতে বাড়তি সময় লেগে যাওয়া। তাই অধ্যাদেশটিতে দ্রুত রাষ্ট্রপতির ছাড়পত্র চাইছে কেন্দ্র।