বাঁদরের বিরুদ্ধে এফআইআর বিচারকের

বিচারকের ছেলেকে বাঁদরে কামড়ানোর ঘটনা গড়াল আদালত পর্যন্ত। করিমগঞ্জ সদর থানায় করিমগঞ্জ ফরেনার্স ট্রাইবুনালের বিচারক দেবানন্দ দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে আক্রমণকারী বাঁদর খুঁজতে নেমে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৫৫
Share:

বিচারকের ছেলেকে বাঁদরে কামড়ানোর ঘটনা গড়াল আদালত পর্যন্ত। করিমগঞ্জ সদর থানায় করিমগঞ্জ ফরেনার্স ট্রাইবুনালের বিচারক দেবানন্দ দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে আক্রমণকারী বাঁদর খুঁজতে নেমে পুলিশ।

Advertisement

অভিযোগ, করিমগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাড়িতে প্রায়শই তিন-চারটি বাঁদর হামলা চালায়। ঘরে থাকা সামগ্রী, রান্না করা খাবার-দাবারও নিয়ে যায় তারা। মুখ বুজেই সেই আক্রমণ সহ্য করে আম-আদমি। কিন্তু এ বার একটি বাঁদর ভুল জায়গায় হামলা চালানোতেই বিপত্তি। রাস্তায় নামতে হয়েছে পুলি‌শকে।

পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, করিমগঞ্জ ফরেনার্স ট্রাইবুনালের বিচারক দেবানন্দ দাস তাঁর চার বছরের ছেলেকে নিয়ে করিমগঞ্জের ছন্তরবাজারে বাজার করতে যান। আচমকাই একটি বাঁদর শিশুটির উপর আক্রমণ চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় দেবানন্দবাবুর ছেলে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এরপরেই বিচারক বাজারে বাঁদরের মালিকের খোঁজ করতে শুরু করেন। দেবানন্দবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, হামলাকারী বাঁদরটির গলায় চেন ছিল। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে সেটি বাজারেরই কারও পোষ্য। কিন্তু সেটি কার পোষ্য তা তাঁকে বাজারের দোকানদাররা জানাতে অস্বীকার করে। উল্টে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ।

Advertisement

দেবানন্দবাবুর অভিযোগ বাঁদর গৃহপালিত জন্তু নয়। বন্য প্রাণীকে আটকে রাখার দায়ে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তাঁর দাবি। অভিযোগ পেয়েই সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ। বিদেশি শনাক্তকরণ আদালতের বিচারকের ছেলের উপর আক্রমণ চালানো বাঁদরের খোঁজ করতে পুলিশ বাজারে হাজির হলেও বাঁদরের কোনও অস্তিত্ব অবশ্য এখনও খুঁজে পায়নি। বাজারের দোকানদারদের বক্তব্য, বাজার এলাকায় কেউই বাঁদর পোষেন না। তবে পুলিশের সূত্রটি জানিয়েছে, বাঁদর ও তার মালিক গা-ঢাকা দিলেও তল্লাশি চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement