বিচারব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে সতর্ক করলেন প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর। বকেয়া মামলার নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই কৌঁসুলিদের সাহায্য পাওয়া যায় না বলেও জানান তিনি। কালই আদালতে জমে থাকা মামলার তালিকা প্রকাশ করার কথা বলেছেন মোদী। তার পরেই প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও আজ জানান, দেশের বিচারবিভাগ দ্রুত ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা মেটাতে পারেনি।
বিভিন্ন আদালতে জমে থাকা মামলার পাহাড় নিয়ে বিতর্ক অনেক দিনের। কাল পটনা হাইকোর্টের এক অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, ‘‘সব আদালত বার্ষিক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে। তাতে ওই আদালতে চলা সব চেয়ে পুরনো মামলাগুলির কথা থাকবে। তার মধ্যে কয়েকটি হয়তো ৪০-৫০ বছরের পুরনো।’’ মোদীর আশা, ‘‘এই বিজ্ঞপ্তি পড়লে মানুষের মধ্যে বকেয়া মামলা নিয়ে সচেতনতা তৈরি হবে। সে ক্ষেত্রে কেউ কেউ হয়তো জমে থাকা মামলার সমস্যা মেটাতে কোনও পদক্ষেপ করবেন।’’ আজ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘বিচারবিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিচারপতিদের উচিত নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া।’’ তাঁর মতে, বকেয়া মামলা মেটাতে সব সময়ে কৌঁসুলিদের সাহায্য মেলে। তাঁর আশ্বাস, ‘‘কৌঁসুলিরা সাহায্য করলে বিচারপতিরা বকেয়া মামলার নিষ্পত্তি করতে শনিবারও কাজ করবেন। এ ক্ষেত্রে যে সব বিচারাধীন কয়েদি দীর্ঘদিন জেলে আছেন তাঁদের মামলাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে।’’
বিভিন্ন আদালতে প্রায় ৩ কোটি মামলা জমে রয়েছে। তাই ভারতীয় বিচারবিভাগ দ্রুত ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা মেটাতে পারেনি বলেই মনে করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। পুরনো একটি আপ্তবাক্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রণববাবুর হুঁশিয়ারি, ‘‘দেরিতে বিচার পাওয়া বিচার না পাওয়ারই সামিল।’’ বিচারবিভাগের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সব সময়েই সতর্ক থাকতে হয় বলে মনে করেন বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ‘‘সে কথাই প্রধান বিচারপতি ফের এক বার মনে করিয়ে দিয়েছেন।’’