প্রতীকী ছবি।
ফেসবুকের আলাপ বিয়ে পর্যন্ত গড়ালে তা ব্যর্থ হতে বাধ্য বলে মন্তব্য করলেন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা।
বছর খানেক আগে রাজকোটের এক তরুণী তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে হেনস্থার অভিযোগ আনেন। সম্প্রতি সেই মামলায় রায় ঘোষণা করতে গিয়েই এই মন্তব্য করেন ওই বিচারপতি। তরুণী জানিয়েছেন, ফেসবুকে আলাপ এবং বছর চারেক মেলামেশার পরে ২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু মাস-দুয়েকের মধ্যেই শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ এনে মামলা করেন তিনি। তরুণী ও তাঁর স্বামী দু’জনেই সদ্য কুড়ি পেরিয়েছেন। তাঁদের বয়স ও ভবিষ্যতের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, ‘‘দুজনেরই সমঝোতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা উচিত। না হলে, সহমতের ভিত্তিতে বিয়ে ভেঙে দিন। বিয়ে ভেঙে গেলে দু’জনেই ভবিষ্যতে এগোনোর রাস্তা ঠিক করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে পারবেন।’’
তবে তরুণীর অভিযোগ মূলত স্বামীর বিরুদ্ধে হওয়ায় এ দিন শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ বাকিদের মামলা থেকে রেহাই দিয়েছেন বিচারপতি পরদিওয়ালা।