—ফাইল চিত্র।
আর অন্য কাউকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাচ্ছেন না। নতুন সিবিআই ডিরেক্টর বাছাই করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটির বৈঠকে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নিজেই উপস্থিত থাকবেন। তা জানিয়ে সিবিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর নিয়োগের বিরুদ্ধে মামলা আজ শুনতে রাজি হলেন না প্রধান বিচারপতি।
আগামী বৃহস্পতিবার, সিবিআই ডিরেক্টর বাছাই করতে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতাকে নিয়ে তৈরি উচ্চপর্যায়ের কমিটির বৈঠক বসবে। তার মাত্র তিনদিন আগে আজ, ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাও ২০ জন সিবিআই অফিসারকে বদলি করেছেন। তার মধ্যে ১৩ জন এসপি, ৭ জন এএসপি। এঁদের মধ্যে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার দিল্লি বিভাগের প্রধান বিবেক প্রিয়দর্শীও রয়েছেন। যিনি টু-জি স্পেকট্রাম দুর্নীতির তদন্ত দেখভাল করছিলেন।
ওই উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে আলোচনা ছাড়াই এম নাগেশ্বর রাওকে ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অসরকারি সংগঠন ‘কমন কজ’ ও তথ্যের অধিকারের আন্দোলনকারী অঞ্জলি ভরদ্বাজ জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। আজ বেঞ্চে মামলা উঠতেই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, তিনি এই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। কারণ, ওই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি হাজির থাকবেন। মামলার শুনানি হবে দ্বিতীয় প্রবীণতম বিচারপতি এ কে সিক্রির বেঞ্চে, ২৪ জানুয়ারিতেই।
এর আগের উচ্চপর্যায়ের কমিটির বৈঠকে প্রধান বিচারপতি নিজে না গিয়ে বিচারপতি সিক্রিকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। সেখানেই অলোক বর্মাকে সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপরে বিচারপতির সিক্রির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ফলে এই মামলা বিচারপতি সিক্রি শুনতে রাজি হবেন, না কি তিনিও নিজেকে সরিয়ে নেবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
অক্টোবরে বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর পরে নাগেশ্বর রাও প্রথমবার ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টরের দায়িত্ব নিয়েই দুর্নীতি দমন শাখার ডিএসপি এ কে বস্সিকে পোর্টব্লেয়ারে বদলি করে দিয়েছিলেন। বস্সি রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বর্মা পুনর্বহাল হয়ে বস্সিকে ফিরিয়ে আনেন। ফের দায়িত্ব নিয়ে তা খারিজ করে দেন রাও। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বস্সি আজ মামলা করেছেন।