জ্যোতি মলহোত্রা। —ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ যখন চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা, তখনও পাক কূটনীতিক এহসান দার ওরফে দানিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রা। সূত্রের খবর, তদন্তে এমনই তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। শুধু তা-ই নয়, ভারত-পাক সামরিক উত্তেজনার সময় দেশের কোন কোন জায়গায় ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছিল, সেই সম্পর্কিত তথ্যও ফাঁস করেছিলেন তিনি! এমনকি সামরিক অস্থিরতার সময় পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ ছিল বলে সূত্রের খবর।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫-এর মধ্যে তিন বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন জ্যোতি। তার পর চিন এবং বাংলাদেশেও গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। দু’দেশে তাঁর এই সফরও এখন তদন্তকারীদের নজরে। হরিয়ানা পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও এই মামলার তদন্ত করছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে জ্যোতির দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য জ্যোতির তিনটি মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, মার্চের পর জ্যোতি এবং দানিশের মধ্যে কী কী কথা হয়েছে, তা-ও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পুলিশ নিশ্চিত করেছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় জ্যোতির সঙ্গে কথা হয়েছিল দানিশের। তদন্তে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে জ্যোতি বেশ কয়েক জন পাকিস্তানি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। সেই সময়ে তিনি পাকিস্তান সফরেও যান।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা এজেন্টদের সঙ্গে যোগযোগ রাখার কথা জেরায় স্বীকার করেছেন জ্যোতি, এমনই জানিয়েছে পুলিশ। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের ভিসার জন্য তিনি যখন নয়াদিল্লিতে পাক হাই কমিশনে গিয়েছিলেন, তখনই দানিশের সঙ্গে আলাপ হয়। গ্রেফতারির আগে পর্যন্তও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির।