K. C. Venugopal

রিপোর্টে বেহাল শিক্ষার চিত্র, সরব কংগ্রেস

একটি অসরকারি সংস্থার তৈরি শিক্ষার হাল নিয়ে বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে পাঁচ জনের মধ্যে এক জন ভবিষ্যতে কী কাজ করতে চায়, তা বলতে পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:০২
Share:

কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। —ফাইল চিত্র।

চোদ্দো থেকে আঠারো বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের ১০০ জনের মধ্যে ৪৩ জনই ইংরেজিতে লেখা সহজ বাক্য পড়তে পারে না। গ্রামে এই বয়সের ছেলেমেয়েদের ২৫ শতাংশ নিজেদের মাতৃভাষায় লেখা দ্বিতীয় শ্রেণি স্তরের বাক্য পড়তে গিয়ে হোঁচট খায়। গ্রামের ওই বয়সের ৫০ শতাংশ ছেলেমেয়ে আটকে যায় সাধারণ ভাগের অঙ্ক করতে গিয়ে। যে অঙ্ক তাদের তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণিতেই শিখে ফেলা উচিত ছিল। অযোধ্যায় রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে যখন গোটা মোদী সরকার ব্যস্ত, তখন শিক্ষার হাল নিয়ে ২০২৩-এর বার্ষিক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।

Advertisement

আজ তা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল আজ বলেছেন, ‘‘দেশে শিক্ষার এই হাল হয়েছে কারণ বিজেপি তার বিভাজনকারী ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে ব্যস্ত। তারা তরুণদের ভুল পথে চালিত করার জন্যও দায়ী।’’

একটি অসরকারি সংস্থার তৈরি শিক্ষার হাল নিয়ে বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে পাঁচ জনের মধ্যে এক জন ভবিষ্যতে কী কাজ করতে চায়, তা বলতে পারেনি। কী নিয়ে পড়াশোনা করা উচিত, কতখানি পড়াশোনা করা উচিত, কী ধরনের কাজ খোঁজা উচিত, কী ধরনের কাজের বাজারে চাহিদা রয়েছে, তা নিয়েও তাদের উত্তর জানা নেই। রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবারই বলেছিলেন, বেকারত্ব দেশের সব থেকে বড় সমস্যা। বেণুগোপালের বক্তব্য, ‘‘এই রিপোর্ট দেখিয়ে দিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষার হাল কতখানি উদ্বেগজনক। তার চেয়েও যন্ত্রণাদায়ক হল, ২০ শতাংশ ছেলেমেয়ের সামনে কোনও চাকরির লক্ষ্যই নেই। যদি তরুণ প্রজন্মকে রোজগারের উপযুক্ত করে তোলা না-যায়, তা হলে দেশের অগ্রগতি কী ভাবে হবে? দিনের পর দিন শিল্প সংস্থা, উদ্যোগপতিরা অভিযোগ করেন, একবিংশ শতাব্দীর অর্থনীতির চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষিত মেধাই পাওয়া যায় না!’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন