ফেসবুক পোস্ট করা সেই ছবি।
ফের মুসলিম কট্টরপন্থীদের নিশানায় প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ।
গত বৃহস্পতিবার ছেলের সঙ্গে দাবা খেলার ছবি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেছিলেন কাইফ। সঙ্গে ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’।
সেই ‘অপরাধে’ ইসলামিক কট্টরপন্থীদের রক্তচক্ষুর সামনে প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁদের বক্তব্য, এই ছবি পোস্ট করে ইসলামকে অবমাননা করেছেন কাইফ। এক জন ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে কাইফের দাবা খেলা উচিত নয়। এ পরই বিষয়টি নিয়ে সরব হন স্বয়ং কাইফ।পাশাপাশি, এই সমালোচনার তীব্র নিন্দা করেছে উদারপন্থীরা।এর আগেও কট্টরপন্থীদের নিশানায় পড়েছেন কাইফ। গত ৩১ ডিসেম্বর সূর্য নমস্কাররত ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে টুইটারে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ঝড় উঠেছিল।
ইসলামিক কট্টরপন্থীদের রক্তচক্ষুর সামনে কাইফ।
মুসলিম কট্টরপন্থীদের জবাব দিতে গত কাল টুইট করেন কাইফ। তিনি লিখেছেন, ‘‘ঠিকাদারজি’কে জিজ্ঞাসা করুন, শ্বাস নেওয়াটা হারাম কি না। কামাল হ্যায় ইয়ার।’’<
>
কট্টরপন্থী মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন কলকাতার নাখোদা মসজিদের ইমাম মৌলানা কাসমি। তাঁর স্পষ্ট মত, ‘‘ইসলামে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। দাবা খেলা নয়। যে বা যাঁরা এমন মন্তব্য করছেন, তাঁরাই আসলে ইসলাম বিরোধী।’’ লেখক আবুল বাশার বলেছেন, ‘‘যে খেলার মধ্য দিয়ে বুদ্ধির বিকাশ হয়, তা কোনও দিনই ইসলাম বিরোধী হতে পারে না। যাঁরা একে অবৈধ বলছেন, তাঁরা ঠিক বলেছেন না।’’
আরও পড়ুন: গর্ভপাত নয় ১০ বছরের ধর্ষিতার
শুধু কাইফ নন। সাম্প্রতিক কালে ধর্মীয় মৌলবাদীদের নিশানায় পড়তে হয়েছে মহম্মদ শামি থেকে ইরফান পাঠান প্রত্যেকেই। মেয়ের জন্মদিনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় সমালোচিত হয়েছিলেন শামি। আবার, হিজাব পরা স্ত্রী’র মুখ না ঢেকে দেওয়ায় এবং হাতের আঙুলে নেলপালিশ থাকায় রোষের মুখে পড়তে হয় পাঠানকে।
সেই তালিকায় এ বার নয়া সংযোজন।
ছবি: মহম্মদ কাইফের ফেসবুকের সৌজন্যে