বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদকে চিকিত্সা করে বিপাকে পড়েছিলেন গুয়াহাটির চিকিত্সক। এ বার সমস্যায় পড়েছেন করিমগঞ্জের সরকারি চিকিত্সক-সহ জেলসুপার, জেলার। আদালতের অনুমতি না নিয়ে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা সিদ্দেক আহমেদকে কী ভাবে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হল সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে করিমগঞ্জের এসিজেএমের আদালত। এই ঘটনায়, চিকিত্সক এবং কারা কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৬ মে আদালতে হাজির হয়ে বয়ান দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করিমগঞ্জের এসিজেএমের আদালতে সিদ্দেক আহমদের বিরুদ্ধে মারধরের মামলা চলাকালীন অবস্থায় বিধায়ক ‘অসুস্থ’ হয়ে আদালতে হাজির থাকেননি। গুয়াহাটির হায়াত্ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান। সেখানকার চিকিত্সককে করিমগঞ্জে ডেকে আনে আদালত। সিদ্দেককে অসুস্থতার সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য আদালত চিকিত্সক-সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ভর্ত্সনা করে। কেন হাসপাতালের ও চিকিত্সকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চায়। পরে তাদের সতর্ক করা হয়। ৩০ এপ্রিল বিধায়কের জামিন না মঞ্জুর করে আদালত তাঁকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে তিনি ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়লে করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিত্সকদের সুপারিশে বিধায়ককে পর দিনই করিমগঞ্জ জেল কর্তৃপক্ষ শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদেশে করিমগঞ্জ হাসপাতালে সিদ্দেককে ভর্তি করা হলেও পরে শিলচর নিয়ে যাওয়ার সময় জেল কর্তৃপক্ষ আদালতের অনুমতি নেয়নি। ফলে মঙ্গলবার বিধায়কের জামিন মঞ্জুর করে অতিরক্ত দায়রা বিচারক সে বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন এসিজেএমকে। বুধবার করিমগঞ্জের এসিজেএম শাহ সৈয়দ আহাদুর রহমান ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। এবং ১৬ মে করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিত্সকদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই সঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষ কোনও আদেশ ছাড়াই কী করে বিধায়ককে চিকিত্সার জন্য শিলচরে পাঠালো তাও জানতে চেয়েছেন। তবে বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ যেহেতু গৌহাটি হাইকোর্টে পৃথক মামলা দায়ের করেছেন, তাই সেই মামলার পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত রেজাউল মামলায় করিমগঞ্জের আদালতে তিনি হাজির না থাকলেও চলবে বলে নিম্ন আদালত জানিয়েছে।