পুলিশের জালে ধরা পড়ার পর সুযোগ বুঝে পুলিশের জিপে আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল একাধিক খুন, ধর্ষণ, অপহরণের মামলায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতী। দীর্ঘ জেরার পর সে ওই বিদেশি পিস্তল, কার্তুজ বের করে তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, বরাকের তিন জেলাই শুধু নয়, মেঘালয়েও অপরাধের জাল ছড়িয়েছিল ময়না মিঞা। খুনের মামলায় করিমগঞ্জের জেলা আদালত তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সে বড় অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত রাতে রামকৃষ্ণনগর থেকে গাড়ি-সহ এক চালককে অপহরণ করে ময়না। তার সঙ্গে ছিল আরও এক দুষ্কৃতী। যাত্রী সেজে তারা ওই গাড়িতে উঠেছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, এর পরই অস্ত্র দেখিয়ে চালক ইসলামুল হক লস্করকে করিমগঞ্জের গামারিয়ায় গাড়িটিকে নিয়ে যেতে বলে তারা। কিছুটা জনবহুল জায়গায় পৌঁছে চালক মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাবি ছুড়ে ফেলে দেন। তখনই চালকের দিকে গুলি ছোড়ে ময়নারা। কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গাড়িটিকে ঘিরে ভিড় জমে যায়। সেই সুযোগে পিস্তলটি সরিয়ে ফেলে ময়না। কালীবাড়ি থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে দু’জনকে জিপে তোলে। তখনই কোনও ভাবে পিস্তল, গুলি জিপে লুকিয়ে দেয় ময়না। থানায় জেরার সময় প্রথমে সে দাবি করে, তাদের আরও এক শাগরেদ ওই পিস্তল নিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু পরে ভেঙে পড়ে সে সব কথা স্বীকার করে।
আজ তাকে আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে এক দিনের
জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।