কাসগঞ্জ: চন্দন খুনে মূল অভিযুক্ত ধৃত

তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কাসগঞ্জের হিংসা নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কাসগঞ্জের গোষ্ঠী সংঘর্ষে চন্দন গুপ্ত খুনের ঘটনায় বুধবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আলিগড় রেঞ্জের আইজি সঞ্জীব গুপ্ত জানিয়েছেন, ধৃত ব্যক্তির নাম সালিম। বয়স তিরিশের নীচে। কাসগঞ্জেই লুকিয়ে ছিল সে। সঞ্জীবের দাবি, ‘‘চন্দনকে সরাসরি গুলি করার কথা স্বীকার করেছে সালিম।’’ ২২ বছরের কলেজ ছাত্র চন্দনকে খুনের ঘটনায় সালিমের দুই ভাই নাসিম এবং ওয়াসিমও অভিযুক্ত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কাসগঞ্জের হিংসা নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

Advertisement

প্রজাতন্ত্র দিবসে মথুরা-বরেলী হাইওয়েতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মোটর সাইকেল যাত্রা ছিল। সেখানে পাথর ছোড়াকে কেন্দ্র করে কাসগঞ্জে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে হিংসার বলি হন চন্দন। ভাঙচুর করা হয় দোকানপাট, যানবাহন। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতে। এলাকায় জারি করা হয় কার্ফু। কাসগঞ্জের এই ঘটনাকে ‘কলঙ্ক’ আখ্যা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নাইক। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও জানান, উত্তরপ্রদেশে নৈরাজ্যের কোনও স্থান নেই। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তার পরেই এ দিন গ্রেফতার করা হল সালিমকে। অতিরিক্ত ডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, এফআইআরে বলা হয়েছে এবং বেশ কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীও জানিয়েছেন, নিজের বাড়ির ছাদ বা বারান্দা থেকে চন্দনকে নিশানা করে গুলি চালিয়েছিল সালিম। চন্দনের দেহ থেকে পাওয়া বুলেট বাজেয়াপ্ত করা কোনও আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া হয়েছিল কি না, তা এখন মিলিয়ে দেখছে পুলিশ। কাসগঞ্জের পুলিশ সুপার পীযূষ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য তাদের বাড়িতে নোটিস দেওয়া হয়েছে। হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে ১৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আজ হিংসা নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে যোগী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে পাঠানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। গোষ্ঠী সংঘর্ষ পূর্ব পরিকল্পিত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন