Kashmir

নিজেদের তৈরি করা হিংসাতেই ভুগছেন কাশ্মীরিরা, মন্তব্য সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের

তাঁর কথায়, ‘‘আমরা নরম-গরম নীতিতে কাজ করছি। পরিস্থিতির উপর আরও নিয়ন্ত্রণ আনতে আমরা কাজ করে চলছি। উপত্যকায় শান্তি আনার লক্ষ্যে আমরা অনেকটাই সফল। অনেকেই আমাদের বার্তায় সাড়া দিচ্ছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৫৯
Share:

নিয়ন্ত্রণে আসছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, দাবি সেনাপ্রধানের। ফাইল চিত্র।

জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে শুধু ভারতীয় সেনাই। উপত্যকায় হিংসার জন্য দায়ী কাশ্মীরীরা নিজেরাই। হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘নরম-গরম’ নীতিতে নিরন্তর কাজ করে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যেরা। আজ নয়াদিল্লিতে বার্ষিক সাংবাদিক বৈঠকে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে এই বক্তব্যই রাখলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।

Advertisement

বার্ষিক সাংবাদিক বৈঠকে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে কী বলেন সেনাপ্রধান, তা জানতে উৎসাহ ছিল বিভিন্ন মহলে। কারণ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে প্রায় আড়াইশো জঙ্গির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যা গত আট বছরে সর্বাধিক। সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে প্রায় সাড়ে চারশো। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যাও একশো ছাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক কালে উপত্যকায় সবথেকে বেশি রক্ত ঝরেছে ২০১৮ সালেই।

যদিও এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে অনেকটাই সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা নরম-গরম নীতিতে কাজ করছি। পরিস্থিতির উপর আরও নিয়ন্ত্রণ আনতে আমরা কাজ করে চলছি। উপত্যকায় শান্তি আনার লক্ষ্যে আমরা অনেকটাই সফল। অনেকেই আমাদের বার্তায় সাড়া দিচ্ছেন।’’একই সঙ্গে তাঁর দাবি, নিজেদের তৈরি করা হিংসার জন্যই ভুগছেন কাশ্মীরীরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: সেনায় মালবাহকের কাজ করতে এসে চরবৃত্তি! গ্রেফতার সন্দেহভাজন যুবক

পাশাপাশি সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ‘‘দেশের পশ্চিম প্রান্তে পাকিস্তান সীমান্ত এবং উত্তর প্রান্তে চিন সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত। দেশবাসীর উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’

একই বৈঠকে তালিবানের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করতেও সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছেন সেনা প্রধান। তাঁর কথায়, ‘‘তালিবানের সঙ্গে আলোচনার রাস্তায় হাঁটছে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ। আফগানিস্তানের বিষয়টি মাথায় রাখলে ভারতেরও সেই আলোচনায় অংশ নেওয়া উচিত। ’’

আরও পড়ুন: রাজ্যপালের শাসনে আস্থা হারাচ্ছে কাশ্মীর? বাড়তে থাকা হিংসায় ‘জটিল’ হচ্ছে পরিস্থিতি

সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যের পরই সমালোচনায় সরব হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি। পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির টুইট করেছেন, ‘তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হলে আমাদের ক্ষেত্রে অন্য নীতি কেন? তা হলে তো পাকিস্তানের শান্তি প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে হুরিয়ত কনফারেন্সের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হওয়া উচিত ভারতের।’

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন