বন্ধে জনশূন্য কাটলিছড়া। শনিবার। ছবি: অমিত দাস।
কাটলিছড়াকে মহকুমা করার দাবিতে দক্ষিণ হাইলাকান্দিতে পালিত হল বন্ধ। আজ ভোর থেকে শুরু হওয়া ১২ ঘন্টার এই বন্ধে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের এই দাবিকে সামনে রেখে বন্ধ ডাকে ‘কাটলিছড়া মহকুমা দাবি সমিতি’।
বন্ধের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিল কংগ্রেস, এআইইউডিএফ যুব ফ্রন্ট, কাটলিছড়া ব্যবসায়ী সমিতি-সহ স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন। আজ সকাল থেকেই বন্ধ সমর্থকরা ১৫৪ নং ধলেশ্বর-ভৈরবী জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশ অবরোধ করে। কাটলিছড়াকে মহকুমা ঘোষণার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে তারা। বন্ধ ছিল দোকানপাট, স্কুল কলেজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। রাস্তাও ছিল জনশূন্য, যানশূন্য। এর আগে, শুক্রবার মহকুমা দাবি কমিটির পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল হাইলাকান্দির জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে কাটলিছড়াকে মহকুমা ঘোষণা করার দাবিপত্র পেশ করেন। বন্ধ পালনের কথাও জেলাশাসককে তাঁরা জানান।
এদিন কাটলিছড়া মহকুমা দাবি কমিটির সভাপতি সুশীল চন্দ্র দেব, সহ-সভাপতি ভূষণ দেব, কমিটির উপদেষ্টা এবং জেলা পরিষদ সদস্য মৃদুল সিংহ চৌধুরী, সদস্য বিভূতি চক্রবর্তী প্রশাসনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন, কাটলিছড়াকে অবিলম্বে মহকুমা ঘোষণা করা না হলে তাঁরা দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনে নামবেন। দক্ষিন হাইলাকান্দির জনজীবন অচল করে দেবেন। তাঁদের বক্তব্য, ১৯৮৮ সাল থেকে কাটলিছড়াকে মহকুমা করার দাবি জানিয়ে আসছেন এ অঞ্চলের মানুষ। কাটলিছড়াকে মহকুমা করার দাবির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে মৃদুলবাবু বলেন, ‘‘মিজোরাম সীমান্ত ঘেঁষা এই দুর্গম এলাকার মানুষ কে যে কোনও প্রশাসনিক কাজের জন্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা সদরে যেতে হয়। কাটলিছড়া মহকুমা হয়ে গেলে এই ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবেন মানুষ।’’
মহকুমা ঘোষণার দাবিতে কাটলিছড়া যখন উত্তাল তখন এই এলাকার ছ’বারের বিধায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রীর বরাক উপত্যকা বিষয়ক উপদেষ্টা গৌতম রায় নিজের খাস তালুক নিয়ে কি ভাবছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘‘এই দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে। আমি এ ব্যাপারে তরুণ গগৈয়ের সঙ্গে কথা বলব। কাটলিছড়াকে যাতে অবিলম্বে মহকুমা ঘোষণা করা হয়, তা দেখব।’’ আজকের এই বন্ধ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বন্ধের ফলে মিজোরামের পণ্যসরবরাহ বিঘ্নিত হয়।