সোনম ওয়াংচুক। —ফাইল চিত্র।
লাদাখে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। কেন্দ্রকে আজ চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন জেলবন্দি সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুকের স্ত্রী গীতাঞ্জলী আংমো। তাঁর অভিযোগ, কাউকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাতে ‘আষাঢ়ে গল্প’ তৈরি করা হচ্ছে। কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, সোনম এবং গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি না দিলে তারা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। লাদাখের উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সেখানের মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী ‘বিশ্বাসঘাতকতা’কে দায়ী করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
লাদাখ পুলিশের ডিজি সোনমের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ থাকার অভিযোগ তোলেন এবং তাঁর বিদেশ সফর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। আজ তার উত্তরের সোমনের স্ত্রী বলেছেন, ‘‘পুলিশের ডিজি যা বলেছেন, তারতীব্র নিন্দা করছি। শুধু আমি নই, লাদাখের প্রতিটি মানুষ ওই অভিযোগের নিন্দা করছে।’’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কে সিআরপিএফ-কে গুলি চালানোর নির্দেশ দিল? কে নিজেদের লোক, নিজেদের নাগরিকদের হত্যার করতে বলল? লাদাখ এমন একটি জায়গা, যেখানে কোনও দিন কখনও হিংসাত্মক আন্দোলন হয়নি।’’ সাম্প্রতিক হিংসার পিছনে সোনমের উস্কানি রয়েছে বলে কেন্দ্র যে অভিযোগ করেছে, গীতাঞ্জলী তা উড়িয়ে দিয়েছেন।
অবিলম্বে সোনমের মুক্তির দাবি জানিয়েছে কেডিএ। দলের চেয়ারপার্সন আসগর আলি কারবালাই বলেছেন, ‘‘সোনম ওয়াংচুককে মুক্তি দিতে হবে, বেলাগাম গ্রেফতারি বন্ধ করতে হবে এবং ২৪ সেপ্টেম্বরের ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে। এই দাবিগুলি যত ক্ষণ না মানা হচ্ছে, তত ক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনও প্রশ্নইওঠে না।’’
লাদাখকে অশান্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে রাহুল লিখেছেন, ‘মোদীজি, আপনি লাদাখবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। রাজনৈতিক হিংসা এবং ভীতিপ্রদর্শন বন্ধ করে আলোচনায় বসুন। আমরা নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাই’।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে