রাজনীতির ময়দানে নামার অনেক আগে, লোকসভা নির্বাচনের সময় আম আদমি পার্টির টিকিটে ভোটে লড়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন ইরম শর্মিলা চানু। পত্রপাঠ তা নাকচ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে চানুর সঙ্গে আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সম্পর্ক নষ্ট হয়নি।
অনশন ভাঙার পর রাজনীতির প্রথম পাঠ নিতে কেজরীর কাছেই গিয়েছিলেন শর্মিলা। এ বার মণিপুরে নির্বাচনের ময়দানে নামা শর্মিলার পিআরজেএ দলকে ৫০ হাজার টাকা অর্থসাহায্য করলেন কেজরীবাল। সেই সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শর্মিলার লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আবেদনও জানালেন তিনি। আপ সাংসদ ভগবন্ত মানও এক মাসের বেতন চানুর দলকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি অন্য রকম। ভোট যত এগোচ্ছে, ততই কোণঠাসা হচ্ছেন শর্মিলা। তাঁকে নিয়ে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে যতটা খবর বেরোয়, স্থানীয় প্রভাব কিন্তু তেমন চোখেই পড়ছে না। শেষ পর্যন্ত ৪ নয়, মাত্র তিনটি আসনে লড়ছেন চানুরা। দিনের পর দিন হুইসেল বাজিয়ে, সাইকেল চালিয়ে সেই তিন প্রার্থীর প্রচার চলছে। মহিলা প্রার্থীর শতকরা হারে তাঁরাই সেরা। কারণ প্রার্থী তিনি নিজে, তাঁর ডান হাত নাজমা বিবি ও পিআরজেএ আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক যুদ্ধের সেনাপতি ইরেন্দ্র লেইচমবাম।