এসআইআর প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সুুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাল কেরল সরকার। — ফাইল চিত্র।
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ পিছিয়ে দেওয়ার আর্জিতে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেরল। আগামী মাসেই কেরলে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। অন্তত ওই ভোটপর্ব মিটে যাওয়া পর্যন্ত যাতে এসআইআর প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়, সেই আবেদন জানিয়েছে কেরল সরকার।
ডিসেম্বরে দু’দফায় (৯ এবং ১১ ডিসেম্বর) পুর এবং পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে কেরলে। গণনা হবে ১২ ডিসেম্বর। গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হবে ১৮ ডিসেম্বর। কেরল সরকারের বক্তব্য, যে ভাবে এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে, তাতে এসআইআর-এর কাজ এবং নির্বাচন উভয়ই একসঙ্গে চললে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হবে। এর ফলে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই কারণেই এসআইআর-এর কাজ নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ অনুসারে, কেরল সরকার জানিয়েছে, সে রাজ্যের আঞ্চলিক নির্বাচন (পুর এবং পঞ্চায়েত ভোট) পরিচালনার জন্য ৬৮ হাজার নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কর্মী প্রয়োজন। এর পাশাপাশি এসআইআর-এর কাজের জন্যও ২৫,৬৬৮ জন কর্মীর প্রয়োজন হচ্ছে। এ অবস্থায় দু’টি প্রক্রিয়া একসঙ্গে চললে প্রশাসনের উপর প্রবল চাপ তৈরি হবে এবং দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজকর্মে অচলাবস্থা তৈরি হবে বলে মনে করছে তারা। কেরল সরকারের বক্তব্য, এই কারণে এসআইআর প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার জন্য গত ৫ নভেম্বর তারা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠিও পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই চিঠির কোনও জবাব আসেনি।
বস্তুত, এসআইআর প্রক্রিয়ায় আপত্তি জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু সরকার ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এ বার এই প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দেওয়ার আর্জিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল কেরলও। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, কেরল সরকার জানিয়েছে, তারা পরবর্তী সময়ে এসআইআর প্রক্রিয়াকেও চ্যালেঞ্জ করে মামলা করতে পারে। তবে আপাতত প্রক্রিয়াটি পিছিয়ে দেওয়ার জন্যই আবেদন জানানো হয়েছে।