ডুবে যাওয়া জাহাজের রাসায়নিকবোঝাই কন্টেনার ভেসে আসছে পারের দিকে। সোমবার নয়া সতর্কতা জারি হল কেরল উপকূলে। ছবি: সংগৃহীত।
তেল এবং রাসায়নিকবোঝাই পণ্যবাহী জাহাজ রবিবার কেরল উপকূলে ডুবতে শুরু করেছিল। কোনও রকমে ওই জাহাজে থাকা ২৪ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ডুবন্ত ওই জাহাজে থাকা বেশ কয়েকটি কন্টেনার জলের তোড়ে এবং হাওয়ার জেরে ক্রমে সমুদ্রের পারে দিকে এগিয়ে আসছে। সোমবার কেরলের কোল্লম এবং আলাপুঝা উপকূল থেকে কয়েকটি কন্টেনার দেখতে পেয়েছেন স্থানীয়দের অনেকেই। আর এই খবর পাওয়ার পরেই নতুন সতর্কতা জারি করেছে কেরল সরকার। কন্টেনার বা তার কোনও অংশ পাড়ের কাছাকাছি এলে, তা থেকে অন্তত ২০০ মিটার দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রবিবারই ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছিল, আরব সাগরে ডোবার সময় লাইবেরিয়ার ওই পণ্যবাহী জাহাজে ৬৪০টি কন্টেনার ছিল। ১২টি কন্টেনারে ছিল বিষাক্ত রাসায়নিক ক্যালশিয়াম কার্বাইড। তা ছাড়াও ওই জাহাজে ৮৪.৪৪ মেট্রিক টন ডিজ়েল এবং ৩৬৭ মেট্রিক টন অন্য জ্বালানি তেল রয়েছে বলে জানা যায়। সেগুলি ডুবন্ত জাহাজ থেকে পড়ে গিয়ে সমুদ্রে মিশছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য দূষণ মোকাবিলায় বিশেষ দূষণরোধী জাহাজ মোতায়েন করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। তেল সমুদ্রে ছড়ালে তা ‘ম্যাপিং’ করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিমানও ওড়ানো হয়েছে আকাশে। প্রশ্ন উঠছে, লাইবেরিয়ার জাহাজটিতে যে ক্যালশিয়াম কার্বাইড ছিল, তা সমুদ্রে মিশলে কতটা ক্ষতি হতে পারে?
কেন্দ্রের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের আওতাধীন ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশন ইনফরমেশন সার্ভিস’ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জানিয়েছে, জাহাজ থেকে সমুদ্রের জলে মেশার পর তেল এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পরবর্তী ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পারে পৌঁছোবে। পরিবেশ এবং প্রকৃতির উপর এর প্রভাব যথাসম্ভব কম করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জলে কোনও কন্টেনার ভাসছে কি না, সে দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদেরও।