কেরলের রাজ্যপাল পি সদাশিবম
বিমান ধরতে পারলেন না কেরলের রাজ্যপাল পি সদাশিবম। তাঁকে না নিয়েই উড়ে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান! অভিযোগ রাজ্যপাল আসছেন, জানতে পারার পরেও অপেক্ষা করতে রাজি হননি পাইলট। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোচি বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজ্যপাল বিমানবন্দরে পৌঁছনোর আগেই বিমান উড়ে গিয়েছিল। রাজভবন সূত্রের পাল্টা দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ১০ মিনিট আগেই রাজ্যপাল পৌঁছে গিয়েছিলেন। ফলে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
এর আগে বিমান বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। চলতি বছরের শুরুতে অভিযোগ উঠেছিল, রিজিজু এবং তাঁর কর্মীকে জায়গা দেওয়ার জন্য একটি অন্তর্দেশীয় বিমান থেকে একটি পরিবারকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই জন্য বিমান উড়তে দেরিও হয়েছিল। ফডণবীসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল, তাঁর জন্য বিমান ছাড়তে দেরি হয়েছে। এই কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। এ বার বিমান বিতর্কে যুক্ত হল কেরলের রাজ্যপাল সদাশিবমের নাম।
কোঝিকোড়ে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে তিরুঅনন্তপুরমে ফিরছিলেন সদাশিবম। দিল্লি থেকে বিমানটি কোচিতে এসে পৌঁছয় দেরি করে। ১০টা ৫৮ মিনিটে। ফলে তিরুঅনন্তপুরমে উড়ে যাওয়ার জন্য কোচি থেকেও বিমানটি ছাড়তে দেরি হয়। কোচি থেকেও বিমানটি ছাড়ার কথা ছিল রাত ১১টা ৪০ মিনিটে। সেই কথা এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সদাশিবমকে জানিয়েও দেওয়া হয়।
রাজভবন সূত্রের খবর, কোচি বিমানবন্দর থেকে জানানো হয়েছিল, বিমান ছাড়া হবে ১১টা ৪০মিনিটে। রাজ্যপাল সদাশিবম এবং তাঁর স্ত্রী ১১টা ২৮ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। কিন্তু দেখা যায়, ততক্ষণে বিমানের দরজা থেকে সিঁড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিমানের দরজাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং বিমানটি রানওয়ের দিকে চলতে শুরু করে দিয়েছে।
সূত্রের খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা রাজ্যপালের ‘বোর্ডিং পাস’ নিয়ে তৈরি ছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজার বিমানের পাইলটকে জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল আসছেন। তা সত্ত্বেও পাইলট সদাশিবমের জন্য অপেক্ষা করতে অস্বীকার করেন এবং বিমানের দরজা বন্ধ করে দেন।
রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হবে। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রেও বলা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এই সব ঘটনাপ্রবাহে রাজ্যপাল সদাশিবমকে মঙ্গলবার রাতটা কোচিতেই কাটাতে হয়। বুধবার সকালে সড়কপথে তিনি তিরুঅনন্তপুরমে আসেন।