—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্ত্রীকে আইনি বিচ্ছেদের খসড়া পাঠানোর পরেই আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। এই ঘটনায় স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের সেই রায় খারিজ করল কেরল হাই কোর্ট।
ম্যাজিস্ট্রের রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুথিয়া পুরাইল শাজি। ঘটনার সূত্রপাত ২০০৫ সালে। বিয়ের তিন মাস পরে স্ত্রীকে আইনি বিচ্ছেদের খসড়া পাঠিয়েছিলেন শাজি। তার পরেই কুয়োর ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন তরুণী। এর পরেই শাজির বিরুদ্ধে নিজের কন্যাকে নির্যাতন, আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এমকে পদ্মিনী। সে সময় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ (স্বামীর নির্যাতন) এবং ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা)-র অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন মৃতার মা পদ্মিনী। চূড়ান্ত এফআইআরে পুলিশ এফআইআর থেকে ৩০৬ ধারা বাদ দিয়েছিল।
নিম্ন আদালতে দীর্ঘ দিন বিচার চলে। ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তার পরেই নিম্ন আদালত এই মামলায় ৩০৬ ধারা যুক্ত করায় সম্মতি দেয়। নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, স্বামীর থেকে বিচ্ছেদের খসড়া পেয়ে ভেঙে পড়েছিলেন মহিলা। সেই রায় খারিজ করে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘অভিযোগকারী যে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন বা ইচ্ছা করে তাতে সাহায্য করেছিলেন, তার স্পষ্ট প্রমাণ দিতে পারেনি মৃতার মায়ের আইনজীবী। স্ত্রীকে আত্মহত্যা প্ররোচনা দিতেই ওই খসড়া পাঠিয়েছিলেন স্বামী, তার প্রমাণ নেই।’’ পাশাপাশি বিচারপতি কৌসের এডাপ্পাগাথের পর্যবেক্ষণ, শুধু অভিযোগ করলেই হবে না। তার প্রমাণও প্রয়োজন। তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পরে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩০৬ ধারা বাদ দিয়েছিল।