জমি-কাণ্ডে ইস্তফা  কেরলের মন্ত্রীর

আলপ্পুঝায় ব্যাকওয়াটারের ধারে একটি রিসর্ট তৈরি করতে গিয়ে মন্ত্রী চান্ডি তাঁর প্রভাব খাটিয়ে জলাজমি দখল করেছেন, অবৈধ ভাবে রাস্তা নির্মাণ করেছেন জলাশয়ের উপর দিয়ে, এই মর্মে রাজস্ব দফতর অভিযোগ এনেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৯
Share:

টমাস চান্ডি

দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিলেন কেরলের পরিবহণমন্ত্রী টমাস চান্ডি। জমি দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় তাঁকে নিয়ে জলঘোলা চলছিল কেরলের শাসক ফ্রন্ট এলডিএফে। তিরুঅনন্তপুরমে বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেননি বাম শরিক সিপিআইয়ের চার মন্ত্রী। তাঁদের ঘোষণা ছিল, চান্ডি থাকলে তাঁরা মন্ত্রিসভার বৈঠকে থাকবেন না। ওই বৈঠকের পরেই পদত্যাগ করেন চান্ডি। তাঁর দল এনসিপি-র রাজ্য সভাপতি পদত্যাগপত্র পৌঁছে দেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কাছে।

Advertisement

আলপ্পুঝায় ব্যাকওয়াটারের ধারে একটি রিসর্ট তৈরি করতে গিয়ে মন্ত্রী চান্ডি তাঁর প্রভাব খাটিয়ে জলাজমি দখল করেছেন, অবৈধ ভাবে রাস্তা নির্মাণ করেছেন জলাশয়ের উপর দিয়ে, এই মর্মে রাজস্ব দফতর অভিযোগ এনেছিল। আলপ্পুঝার জেলাশাসকও একই রিপোর্ট দিয়েছিলেন। রাজস্ব দফতর রয়েছে সিপিআইয়ের হাতে। তারা তখন থেকেই চান্ডির ইস্তফা চেয়ে এলডিএফের অন্দরে চাপ বাড়াচ্ছিল। কিন্তু চান্ডি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন জেলাশাসকের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে। নিজের সরকারের রিপোর্টকে এক জন মন্ত্রী কী ভাবে চ্যালেঞ্জ করেন, এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবারই হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করেছিল চান্ডিকে। তার পরে এ দিন ইস্তফা।

ভাঙলেও অবশ্য মচকাতে চাননি চান্ডি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি। সরকারের স্বার্থে আমিই ইস্তফা দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভায় এনসিপি-র জন্য জায়গাও থাকবে।’’ চান্ডির আরও ঘোষণা, প্রয়োজনে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন এবং অভিযোগমুক্তির পরে মন্ত্রিত্বে ফিরবেন। দেড় বছরের বিজয়ন সরকারে এই নিয়ে তৃতীয় মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হল। তার মধ্যে স্বজনপোষণের দায়ে সিপিএমের ই পি জয়রাজন পদত্যাগ করে পরে আদালতে ছাড় পেয়েছেন। চান্ডির দল এনসিপি-র আর এক মন্ত্রী এ শশীন্দ্রনকে সরতে হয়েছিল অডিও ক্লিপ কেলেঙ্কারির জেরে।

Advertisement

চান্ডি ইস্তফা দেওয়ার আগে সিপিআই মন্ত্রীরা যে ভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠক বয়কট করেছেন, তাকে অবশ্য ভাল চোখে দেখেননি বিজয়নেরা। মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, ফ্রন্টের মধ্যে প্রতিটি দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। সেই জন্যই এনসিপি-কে সময় দেওয়া হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন