RSS

সংঘের খাকি প্যান্টে ‘আগুন’! কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভারতকে ‘টুকরো’ করার অভিযোগ বিজেপির

বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “তথাকথিত ভারত জোড়ো-র নাম করে কংগ্রেসকে ভারতকে টুকরো করতে চায়।”

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:০৪
Share:

রাহুল গাঁধী (বাম দিকে) এবং সম্বিত পাত্র (ডান দিকে)। মাঝে কংগ্রেসের সেই ‘বিতর্কিত’ টুইটের ছবি।

সোমবার সকালে কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডলে একটি খাকি হাফপ্যান্টের ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘বিজেপি এবং সংঘ পরিবারের ঘৃণার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে ধাপে ধাপে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবে কংগ্রেস।’ ছবিতে প্যান্টটিকে জ্বলতে দেখা গিয়েছিল। ডান দিকে দলীয় কর্মসূচি ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র লোগোর সঙ্গে নীচে লেখা ছিল, আর ১৪৫ দিন বাকি। টুইটটি প্রকাশ্যে আসার পরেই কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা শুরু করা হয় বিজেপির তরফে। বিজেপির অভিযোগ, নির্দিষ্ট কোনও মতাদর্শ এবং সেই মতাদর্শে বিশ্বাসী মানুষদের শেষ করতে চায় কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিতে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস। কন্যাকুমারী থেকে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে কেরলে প্রবেশ করেছেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বাধীন এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নেটমাধ্যমেও জোরদার প্রচারের পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস।

Advertisement

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্যদের উর্দি খাকি রঙের প্যান্ট। বিজেপির কর্মপন্থা এবং নীতি নির্ধারণে সংঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করে থাকেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সে দিকেই ইঙ্গিত করে ওই টুইটে বিজেপি এবং সংঘ পরিবারকে কটাক্ষ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “তথাকথিত ভারত জোড়ো-র নাম করে কংগ্রেসকে ভারতকে টুকরো করতে চায়।” একই সঙ্গে রাহুল গাঁধীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমি রাহুল গাঁধীকে প্রশ্ন করতে চাই যে, তিনি কি দেশে হিংসা চান?” অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা টুইট করে দাবি করেন, কংগ্রেসের টুইটে জাতীয়তাবাদীদের ‘অপমান’ করা হয়েছে।

Advertisement

প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা, অধুনা উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী জিতিন প্রসাদের প্রশ্ন, “কী ভাবে কোনও দল বিরুদ্ধ দলকে পুড়িয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে?” বিজেপির লোকসভা সদস্য আবার এই টুইটকে তুলে ধরে ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার উদাহরণ তুলে ধরতে চেয়েছেন। ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুর পর এই শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় জড়িয়ে যায় বহু কংগ্রেস নেতার নাম।

কংগ্রেসের তরফে অবশ্য এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন